করোনা ভাইরাসের হানায় পুরো বিশ্ব মৃত্যু-হিম আতঙ্কে ওষ্ঠাগত হলেও প্রকৃতি চলছে আপন ছন্দেই। কোয়ারেন্টাইনের আকাশে আজ দেখা মিলবে অতিকায় এক গোলাপি চাঁদ।
পূর্ণিমার আলোয় আলোয় ভরিয়ে রাখবে এই সুপার পিঙ্ক মুন। এই চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের থেকে ১৪ শতাংশ বড়ো আর ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তর আমেরিকা থেকে এই চন্দ্র দর্শন দিতে শুরু করে।
এই মহাজাগতিক দৃশ্য আজ বুধবার সকাল ৯টায় দেখা যাবে বাংলাদেশের আকাশে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে যাবে ২৭ হাজার ৪৯৩ কিলোমিটার। পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। তবে চাঁদের গোলাপি আভা দেখা যাবে পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার দূর থেকে। অর্থাত্ ঐদিন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে যাবে ২৭ হাজার ৪৯৩ কিলোমিটার। যারা এই মহানান্দনিক দৃশ্য অবলোকনের সাক্ষী থাকতে চান তাদেরকে খোলা ছাদে বসে দেখতে হবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের রং গোলাপি নয়। তবে চাঁদের গোলাপি আভার প্রতিফলন মানুষের চোখে এসে পড়বে বলে মানুষ সেটাকে গোলাপি চাঁদ হিসেবেই দেখবে। উত্তর আমেরিকার বসন্তে ফোটা গোলাপি ফুল থেকে এসেছে গোলাপি চাঁদ নামটি। বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমেরিকা ও কানাডায় এপ্রিল মাসে বসন্তের শুরুতে ফ্লক্স নামে একধরনের বুনো ফুল ফোটে যার রং গোলাপি আর সেখান থেকেই এপ্রিলের পূর্ণ চাঁদের নাম পিংক মুন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এপ্রিলের পূর্ণ চন্দ্রের হরেক রকম নাম আছে—যেমন গ্রাস মুন (ঘাস চাঁদ), এগ মুন (ডিম চাঁদ) এবং ফিশ চাঁদ (মাছ চাঁদ)। মূলত পূর্ণিমা হলেই যে সুপারমুন হবে, তা কিন্তু নয়।