শুধুমাত্র সরকারি কর্মকান্ডের উপর নির্ভর না করে করোনা মোকাবেলায় ঈশ্বরদীবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে সাথে সমাজের সচেতন ও বিত্ত¡বানদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে বিশিষ্ঠজনরা মনে করেন। আপোদকালীন এই সময়ে দরিদ্র, নিম্নআয়ের কর্মহীন মানুষ এবং ছিন্নমূল মানুষের সচেতনা বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের সার্বিক সহযোগীতা দান করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এব্যাপারে বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক উদয় নাথ লাহিড়ী বলেন, এতো কিছুর পরও এখনও যারা মাস্ক ছাড়া এবং অযথা বাইরে চলাফেরা করছে তাদের সচেতন করতে হবে। অনেক সহায়-সম্বলহীন মানুষ যারা এখনও মাস্ক কিনতে পারেনি তাদের মাস্ক কিনি দিয়ে সহযোগিতা করা অতিজরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারি প্রচার মাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় করেনা নিয়ে সচেতনামূলক ব্যাপক প্রচারণা সত্বেও ঈশ্বরদী অনেকেই গুরুত্বারোপ করেননি বলে তিনি জানিযেছেন। তাই এখন পরিস্থিতি ক্রমশ: খারাপের দিকে ধাবমান।
এসব বিষয় নিযে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। করোনা মোকাবেলায় আমাদেরও তেমনিভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা শহর থেকে গ্রামে পালিয়েছিল, সেসময় গ্রামবাসীরা সকলে মিলে শরণার্থিদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সেসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আগলে রেখেছিল বলেই স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল। এবারেও এই পরিস্থিি তে আপোদকালীন মোকাবেলায় দরিদ্র, নিম্নআয়ের কর্মহীন মানুষ এবং ছিন্নমূল মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়াতে হবে। সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে যারা ইতোমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে বাঙ্গালি জাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আরো মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ##