পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে অনুদান প্রদানের লক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও এলাকাপ্রীতির অভিযোগ উঠছে। কর্মহীন হত দরিদ্ররা সহায়তা না পেলেও ইউপি সদস্যদের ভাই ভাতিজা, নিকট আত্মীয়, গ্রামপুলিশের নাম রয়েছে এ তালিকায়। জানা গেছে, এ ইউনিয়নে ১১ টি গ্রাম থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত তিন পর্যায়ে দেয়া ২’শ ব্যক্তির তালিকার মধ্যে চেয়ারম্যানের নিজের গ্রামের ৫৭ জনকে উপজেলা প্রশাসনের ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত তিনটি তালিকায় বিলচলন ইউনিয়নের ১১ টি গ্রামের মধ্যে শুধূ কুমারগাড়া গ্রামের ৫৭ জন ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চরসেনগ্রামের ১২জন, নটাবাড়িয়া গ্রামের ১৮জন, দোলং গ্রামের ১৮জন, দোদারিয়া গ্রামের ৬জন, দড়িপাড়াসেনগ্রামের ৭জন, হিন্দু পাড়া গ্রামের ১জন, মহাজের পাড়ার ৪জন, সোনাহার পাড়া গ্রামের ১৯জন, রামনগর গ্রামের ২১জন ও বোঁথর গ্রামের ৩৭জন ব্যক্তির নাম রয়েছে। এ গ্রাম গুলোর মধ্যে দোদারিয়া, হিন্দু পাড়া ও মহাজের পাড়া গ্রাম একটু ছোট হলেও বাঁকি ৮টি গ্রামই বেশ বড়। এ গ্রাম গুলোর মধ্যে ত্রান সুষম বন্টন না করে তিনি স্বজনপ্রীতি করে তার নিজস্ব লোকজনকে অধিক হারে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, ত্রান বিতরণে কোন স্বজনপ্রীতি করিনি। ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের মধ্যে কুমারগাড়া গ্রামটি বড়। এ গ্রামে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ও বেশি থাকায় বেশি নাম দেওয়া হয়েছে। দূর্যোগের সময় ইউপি সদস্যদের বলেছি সঠিক ব্যক্তিদের নাম দিতে। তারা তাদের লিপিবদ্ধ করার। তারা তাদেও নিকট আত্মীয় স্বজন পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকায় দিলে তা মেনে নেওয়া কঠিন। তবে পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে আনুপাতিক হারে ত্রাণ বন্টন করবো।
এ ব্যাপারে পাবনা’র জেলা প্রশাসক জনাব কবির মাহমুদ জানান, এ ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। বিষয়টি আমি দেখছি। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।