বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জের শহর এলাকা লকডাউন অথবা প্রয়োজনে কারফিউ জারির জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের আওয়াতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নাসিক এলাকা দিন দিন সংক্রমিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন মৃত্যুবরণ করাসহ একাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার পর প্রশাসন বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করেছে। নাসিক এলাকায় ইপিজেড, গার্মেন্ট শিল্প, বাড়ি, কলকারখানাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বড় বড় মিল কারখানা রয়েছে বিধায় এলাকাটি শ্রমিক অধ্যুষিত। ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যধিক। তাই সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার্থে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকাটি লকডাউন অথবা প্রয়োজনে কারফিউ জারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি।
অপরদিকে রবিবার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ইত্তেফাককে জানান, নারায়ণগঞ্জ ক্রমশ করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। যত দ্রুত সম্ভব সমগ্র নারায়ণগঞ্জকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জমিস উদ্দিন জানান, শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আশেপাশের ফতুল্লা ও অন্য এলাকাও লকডাউনের আওতায় আনা যায় কি না আমরা চিন্তাভাবনা করছি।