দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পল্লীতে আগুনে পুড়ে সবকিছু হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে একটি পরিবার। প্রাণঘাতি করোনার কারনে ভাতের অভাবের সাথে সাথে এবার ঘর হারানোর কষ্ট চেপে বসেছে”এ যেন মরার উপরে “খাড়ার ঘা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের বারঘড়ি পাড়ায়।
জানাগেছে, ৩ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গরুর ঘর থেকে কোয়েলের আগুনে নশরতপুর গ্রামের বারঘড়ি পাড়ার বাসিন্দা ভ্যানচালক জামাল উদ্দিনের বাড়ির একটি ঘর ও গোয়াল ঘর পুরে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় ঘরে থাকা ১ লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি গরু ও একটি অটো”রিক্সাভ্যানসহ ঘরের থাকা আসবারপত্র সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জামাল উদ্দিনের স্ত্রী লায়লা বেগম জানায়, অনেকদিন থেকেই আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে । খাবারের টাকায় জুটে না, এবার রোজগার ভ্যানটিও পুড়ে গেছে। সাহায্যের যে টুকু চাল ছিলো সেটুকুও পুড়ে গেছে। এবার খাবারের সাথে মাথাগোছার ঠাইও হারিয়ে গেছে। সকলের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া ছেলে মেয়ে নিয়ে বেঁচে তাকার আর উপায় নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা জানান, এই করোনা প্রাদুর্ভাব শেষ না পর্যন্ত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য আহবান করা যাচ্ছে।