কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সকলে আজ চিন্তিত। দেশব্যাপী চলা সাধারণ ছুটি বা অঘোষিত লকডাউনে নিজেদের জীবন বাঁচাতে সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোও আজ নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমন অবস্থায় সমাজে আনাচে কানাচে হাজারো পরিবার আশায় বুক বেঁধে আছে কিছু সাহায্যের অপেক্ষায় তারা জানেনা সারাদিনে পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পারবেন কি না? এমন অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ তেমনি বগুড়ায় করেনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সকলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন শাহ সুলতান গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ সমাজসেবক সোহানুর রহমান সোহান। বুধবার শাহ সুলতান জুট মিল গাবতলী চকবোচাই এলাকা থেকে তিনি শুরু করেছেন সপ্তাহব্যাপী অসহায়, দিনমজুর, শ্রমিক এবং এলাকাভিত্তিক অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম। ইতিমধ্যেই দুই দিনে প্রায় ২ হাজার পরিবারে পৌঁছে দিয়েছেন সপ্তাহব্যাপী প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী যার প্রতিটি ব্যাগে ছিল ৫ কেজি চাল, ২কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, তেল ১ লিটার, পেঁয়াজ ১ কেজি, লবণ ১ কেজি এবং ডিম ৩ হালি। শুধু তাই নয় এর সাথে সাথেই পরিবারের সকলের জন্য তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং উন্নত মাস্কসহ প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। বাংলাদেশে করোনা দুযোর্গের প্রাদুর্ভাব দেখার সাথে সাথেই মানবিক তরুণ এই ব্যবসায়ী নিজের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্যেও গ্রহণ করেছেন নানামুখী কর্মসূচী। সরকারী নির্দেশনা মেনে শাহ সুলতান গ্রæপের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারীর বেতনভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন সোহানুর রহমান। শুধু তাই নয় দেশের প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকলে এই মানুষটির মতো নিজের ব্যবসার দিকে না তাকিয়ে প্রতিটি কর্মচারীর পরিবারের খোঁজ নিয়ে তাদের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা সহযোগিতা পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন সকলের অনুপ্রেরণা হওয়ার মতো এই ব্যবসায়ী। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শাহ সুলতান গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবিক ও স্বপ্নবাজ ব্যক্তিত্ব সোহানুর রহমানের সোহাগের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দেশের এই ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসাই হবে মানবতা। সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতাই যখন এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র প্রতিষেধক তখন তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা সকলের কর্তব্য। তার কাছে কর্মরত মানুষগুলোর যেমন সকলের দায়িত্ব তিনি নিজে নিয়েছেন তেমনি করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে তিনি সমাজের অন্যান্য সচেতন মানুষদেরও এগিয়ে আসার আহব্বান জানান। সেই সাথে অসহায় মানুষগুলোর জন্য শাহ সুলতান গ্রæপের উক্ত মানবিক কার্যক্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।