নওগাঁ সদরের হরিরামপুরে গ্রামবাসীরা নিজেরা চাঁদা উঠিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মান করেছেন। উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমেই তৈরী করা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরন হয়েছে এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারি দপ্তরে গত কয়েক বছর ধরে ধরনা দিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী। রাস্তা তৈরী করে দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রæতি দিয়ে বহুবার তাদের নিরাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হরিরামপুর গ্রামবাসীর চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা। যা দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার কাজ না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে করে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটত। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফসল ঠিক সময় বাজারজাত করা যেত না।
অবশেষে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেরা চাঁদা তুলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে ও শ্রম দিয়ে রাস্তা তৈরী করছেন। গ্রামের প্রায় শতাধিক ছোট-বড় সকলে অংশগ্রহণ করে সকাল থেকে দা, কোদাল, বাঁশ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছেন।
গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধরনা দিয়েছি। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ইটসোলিং রাস্তা করে দেয়া হয়। কিন্তু রাস্তাটি পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ায় রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে নেমে গেছে। এতে গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কাজের উদ্যোক্তা রওশন আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অনেক বার রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আমরা গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সবাই সাধ্যমতো চাঁদা তুলে এই রাস্তা এবং পুকুরের পাশে বাঁশের প্যালাসাইডিং এর কাজ করা হচ্ছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন, ওই রাস্তাটি পুকুরের পাশে হওয়ায় প্যালাসাইডিং করতে যে খরচ হবে তার বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নাই। তবে এটুকু বলতে পারি ওই রাস্তার জন্য এডিপি প্রকল্পের আওতায় একটা বাজেট হয়েছে। যা গ্রামবাসীদের বলে আসছি।