কালিগঞ্জে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ অনুষ্ঠানে শতাধীক ব্যাক্তি জমায়েত করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতা। ডিম মাংস সহ নানান সামগ্রীর ব্যাপক আয়োজনের অনুষ্ঠানটি অবশেষে পন্ড। ঘটনাটি কালিগঞ্জ উপজেলার প্রাণী সম্পদ অফিসে সোমবার(৩০ মার্চ) বেলা ১১ টায় ঘটেছে।জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের বাস্তবায়নে ডিএলএস র্যাপিড রেসপন্স টিমের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে “হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানু নাশক স্প্রে কার্যক্রমে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। যথারীতি বেলা ১১ টায় ছিল মাংস, ডিম, হ্যান্ড স্প্রে বিতরণ অনুষ্ঠানের মূলপর্ব। কিন্তু বিধিবাম, করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের ব্যাপক প্রচারণায় জনগন এখন বেশ সচেতন। সারাদেশের ন্যায় কালিগঞ্জেও সাধারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজন ব্যাতিত ঘরের বাহিরে হচ্ছেন না। ঠিক এমন মুহুর্তে প্রাণী সম্পদ ক্যাম্পাসে শতাধীক নারী পুরুষের জমায়েতে ফুঁসে উঠে কালিগঞ্জের বাজারগ্রাম রহিপুরের গ্রামবাসী। তারা প্রতিবাদে প্রাণী সম্পদ অফিসের বাহির বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে এবং দ্রুত গনজমায়েত ভেঙ্গে যার যার স্থানে চলে যেতে আহবান করে। বিপাকে পড়ে যান সু-চতুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল। তিনি জনরোষে পড়ে হতচকিৎ হয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের তিনি আকুতি স্মরে বলেন যে, এভাবে গনজমায়েত করা আমার ঠিক হয়নি, বুঝে উঠতে পারেনি আমি । এখন আমি ততালিকা মোতাবেক অংশগ্রহনকারীদের জন্য হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থা করবো। এসময় ঐ কর্মকর্তা দ্রুত আগত ব্যাক্তিদের নিজ নিজ বাড়ি যেতে বলেন এবং যথারীতি মাংস ডিম পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এদিকে কুশুলিয়া ইউপির ২ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ খায়রুল ইসলামসহ শতাধীক প্রতিবাদকারী ব্যাক্তি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার দ্রুত পদক্ষেপে খুশি হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের আধা ঘন্টা পরে চলে যান। তবে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের নিকট প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে ডজন ডজন অভিযোগ করেন মেম্বর খায়রুল ইসলাম, ব্যবসায়ী বুলবুল আহম্মেদ, ব্যবসায়ী শেখ রবিউল ইসলাম, শেখ শাহিনুর রহমান, শেখ আমীর আলী, আবু বাক্কার, রজব আলী প্রমুখ। যে অভিযোগের সত্যতা প্রামান নিতে চাইলে প্রাণী সম্পদ অফিস সংলগ্নের অসংখ্য মানুষ প্রস্তুত আছে বলে জানান তারা।