কয়েকজন মার্কিন নাগরিক ও কূটনীতিক আজ সোমবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়ছেন। গতকাল রবিবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ খবর জানিয়েছে। এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কতজন মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশ ত্যাগ করবে সেটি উল্লেখ না করলে মুখপাত্র জানান, বিমানটি ভর্তি অবস্থায় যাবে।
তিনি বলেন, আমরা নাগরিকদের বিমানবন্দরে আগে যেতে বলেছি কারণ আমাদের নিজস্ব কিছু পেপারওয়ার্ক এবং মেডিক্যাল চেক-আপ আছে। এছাড়া বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী কারো যদি জ্বর থাকে, তবে বিমানবন্দরে প্রবেশের সুযোগ থাকে না।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে ও সেই তুলনায় বাংলাদেশে এর প্রকোপ কম এবং এই প্রেক্ষিতে কেন মার্কিন নাগরিকরা দেশে ফেরত যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সবার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কাউকে জোর করছে না মার্কিন সরকার। একেক জনের পরিস্থিতি একেক রকম। যারা পর্যটক এবং যাদের এখানে পরিবার নেই তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাইবেন। আবার কূটনীতিক যারা যাচ্ছেন, তারাও তাদের পরিবারের কারণে যাচ্ছেন।
তবে তিনি বলেন, এর ফলে দূতাবাসের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমরা নিয়মিত ভিসা সেবা স্থগিত করেছি, কিন্তু জরুরি সেবা অব্যাহত আছে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মুখপাত্র বলেন, আমরা বিশ্বের ২৮টি দেশ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরত নিয়ে গেছি এবং এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বিষয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সবার আগে বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ২৫ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।