করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা
হয়েছে। এর মধ্যে উলে-খযোগ্য একটি হলো, রাস্তাঘাটে বা দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রেখে বৃত্ত
আঁকা, আর সেই গোলাকার বৃত্তে দাঁড়াবে মানুষ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় শনিবার উদ্যোগটি
সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও বাস্তবায়ন করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক স¤পাদক ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী মাওলানা রুহুল আমিন।। উপজেলার সিংড়া পৌর এলাকার ৩৮ টি ঔষধের দোকান এবং কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় (ওষুধ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের
দোকানের সামনে আঁকা হয়েছে এ সব বৃত্ত আর সেখানে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক স¤পাদক ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জরুরি পণ্যের দোকানের সামনে বৃত্ত এঁকে দেয়া হচ্ছে। এটি একটি প্রতীকী বিষয়। মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এটা করা হয়েছে।’ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বৃত্ত এঁকে দিচ্ছে ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে বলেন, মানুষ যেন নিরাপদ দূরত্বে থেকে
জরুরি পণ্য কিনতে পারে, একজন যেন আরেকজনের সং¯পর্শে আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সেটার বাস্তবায়ন শুরু করেছি। নিরাপদ সামাজিক দূরত্বের আদেশ অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি বৃত্তের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব রাখা হয়েছে।
পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি বৃত্ত আঁকার কাজেও তাদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ স¤পাদক নাজমুল হক বকুল।