সিলেট হতে ঈশ্বরদীতে শ্বশুর বাড়িতে বেডাতে আসা সন্দেহভাজন এক করোনা রোগী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গেলেন। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়িসহ তিন আত্মীয়র বাড়ি এলাকাবাসী লকডাউন করেছে। ওই তিন বাড়ির সাথে গ্রামের কেউই যোগাযোগ করছেন না। তিন বাড়ি থেকে কেউ বেরও হতে পারছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচারা মধ্যপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিলেটে রাজমিস্ত্রীর কাজ করা ওই যুবক তার গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীর বড়ইচরা আসেন। এ সময় তার সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা ও জ্বর ছিল। কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে সেখান হতে বৃহস্পতিবার তার শ্বশুরবাড়ি মুলাডুলির দুবলাচারা গ্রামে অবস্থান নেন। এ সময় তার শাশুড়ি গ্রামের কমিউনিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী জালাল উদ্দিনকে জামাইয়ের কাশি, গলাব্যথা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের বিবরণ দিয়ে ওষুধ চাইলে স্বাস্থ্য সহকারী চিন্তায় পড়ে যান। তখন তিনি এলাকার মেম্বার জাহিদ হোসেনকে বললে তিনি ঈশ্বরদী থানায় ফোন দেন। পুলিশ বিকেলে সেখানে গেলে ওই রোগী পালিয়ে যান। পরে বাড়িটি পুলিশ লকডাউন করা হবে বলে জানালেও পুলিশ পরে আর সেখানে যায়নি। কিন্তু গ্রামের মানুষ তিনটি বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করছে না এবং ওই তিন বাড়ির কাউকে বের হতে দিচ্ছে না।
কৃষক নেতা মুরাদ মালিথা বলেন, পুলিশ তিনটি বাড়ি লক ডাউন করবে বলে তাৎনিক জানালেও তারা আর আসেননি। তবে এলাকার মানুষ অঘোষিতভাবে লকআউট করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা জানান, পালিয়ে যাওয়া ওই যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।