গুরুদাসপুরে প্রভাবশালী গুলজারের বিরুদ্ধে পাঁচ ভূমিহীন পরিবার উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গুলজার হোসেন নামে এক প্রভাবশালী দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। উচ্ছেদ পাঁয়তারার জন্য পরিবারগুলোকে নানাভাবে হয়রানীও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পানীয়জলের একটিমাত্র টিউবয়েলের মাথা
ভেঙ্গে মাটির নিচে ফেলেছে ওই দলিল লেখক গুলজার হোসেন। নিজেদের নিরাপত্তা ও
উচ্ছেদ হওয়ার ভয়ে পরিবারগুলো থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেনা।
ভুক্তভোগী দুলাল আকন্দ ও বেলার হোসেন অভিযোগ করেন, ১৬৫০ দাগের একটি খাস
জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘ বৃ-চাপিলা এবতেদায়ী স্বতন্ত্র মাদ্রাস’। ওই দাগের শেষ ভাগে তাঁরা পাঁচটি পরিবার বসবাস করছেন। সেটা ৮০ বছরের বেশি সময় ধরে
বাস করছেন তারা। তাদের দাদা ওই জায়গার বসবাস শুরু করে। এত বছর পর দলিল লেখক
গুলজার হোসেন জায়গাটি তাঁর বলে দাবী করে তাদের পরিবারগুলো উচ্ছেদের জন্য উঠে
পড়ে লেগেছেন। গেল দুই মাস ধরে তাদের ভয়ভীতি ও হয়রানী করা হচ্ছে। গুলজার হোসেনের ভয়ে পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে ভয়ে জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুলাল ও বেলালের গরের বেড়ার ওপর দিয়ে মাটি ফেলেছে। এতে করে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলেছেন পানীয় জলের একমাত্র টিউবয়েলটিও।
গুলজার হোসেন দাবী করেন,- তাঁর বাপ-দাদারা পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য জায়গা
দিয়েছিলেন। সেটা প্রায় ৮০ বছর আগে। এখন নিজেদের প্রয়োজনে জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগটি সত্য নয়।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হান্নান সরকার জানান, সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করছেন পরিবারগুলো। এনিয়ে দুই দফা শালিশী বৈঠক বসলেও জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দলিল লেখক গুলজার হোসেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, কাউকে উচ্ছেদ করতে হলে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
হবে।