করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সকল মার্কেট, শপিং মল, বাণিজ্য কেন্দ্র, আবাসিক হোটেল, সাপ্তাহিক হাট, অরনখোলা ও আওতাপাড়ার পশু হাটসহ সকল হাট-বাজার কন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান মাইকিং করে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন। সেখানে বলা হয় জনসমাগম প্রতিরোধের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উল্লেখিত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে খাদ্যদ্রব্য, ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজার খোলা থাকবে।
এসময় জনসাধারণকে খাদ্যদ্রব্য, জরুরী ঔষধ ক্রয় এবং সৎকারের মতো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘোষণার পরপরই ঈশ্বরদী ও আশেপাশের বাজারগুলোতে জনতার ঢল নেমেছে। ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজার খোলা থাকার বিষযটি ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষ ঈদের চাঁদ রাতের মতো দোকানপাটে ভীড় জমিয়ে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করছে।
রবিবার রাতে ঈশ্বরদী পুলিশ বিভাগ উপজেলার সকল চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত: ঈশ্বরদীতে ১লা মার্চ হতে গত ২০শে মার্চ পর্যন্ত বিদেশী নাগরিকসহ মোট ২৭৭ জনের বিদেশ হতে আগমন ঘটেছে। বিদেশ হতে আগতদের ১৪ দিন হোম কোয়রেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ইপিজেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশী নাগরিক এবং প্রবাসীরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে চলাফেরা এবং স্বজনদের সাথে মেলামেশা করেছেন। এতে শংকিত হয়ে পড়েছিল ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ । বিদেশীসহ সদ্য আগত প্রবাসীদের ঈশ্বরদীর হাট-বাজার, হোটেল- রেঁস্তোরা, বাসটার্মিনাল, সিএনজি স্ট্যান্ড, ফাস্টফুড ও চা দোকানে অবাধে চলচাল করছে। এমনকি বিদেশীদের অবাধ চলাফেরায় মাক্সও ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।