: যশোরে গত এক মাসে ২৩ হাজারের বেশি লোক বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৩২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন; আগের দিন যে সংখ্যা ছিল ২০৬। কোয়ারেন্টাইনের বাইরে থাকা বাদবাকি প্রায় ২৩ হাজার লোক কোথায়?- এই তথ্য জানা নেই প্রশাসনের।
তবে বিপুল এই জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে জেলার আট উপজেলায় বিদেশফেরতদের তালিকা
পাঠানো হয়েছে। বিদেশফেরতদের তত্ত্বতালাশ করতে তৃণমূল পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
শনিবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে
গঠিত জেলা কমিটির জরুরি সভায় এই সব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।
যশোর জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বলেন, গত এক মাসে ২৩ হাজার মানুষ বিদেশ থেকে যশোরে এসেছেন। এদের মধ্যে
হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মাত্র ৩৩২ জন। অন্যরা কোথায় আছেন,
কীভাবে আছেন, তা জানা নেই প্রশাসনের।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে ২৩ হাজার ব্যক্তির
একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে; যাদের পাসপোর্টে যশোরের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে তারা সবাই যশোরে অবস্থান করছেন কি-না তা
জানা নেই। তালিকাটি সব উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। যশোরে অবস্থানরত সব বিদেশফেরত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে আনতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।’
তিনি বলেন, আবার অনেকেই যারা হোম কোয়ারেন্টাইনের আছেন বলে বলা
হচ্ছে, তারাও সঠিকভাবে নিয়ম মানছেন না। সঙ্গত কারণে যশোরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই কাজের জন্য প্রতিটি
ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দিয়ে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ওয়ার্ডের বিদেশফেরত ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন
নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি কমিটির নির্দেশনা না মানলে জেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, জেনারেল হাসপাতালসহ সব উপজেলা হাসপাতালে সাড়ে চারশ’ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড, সেবিকা, রোগী পরিবহনের জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বেনাপোল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জনবল বাড়ানো হয়েছে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যানার এবং হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সভায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপকুমার রায় বলেন,
হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের সংখ্যার ব্যাপারে কোনো আইন না থাকার কারণে ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালে ভিজিটিং
আওয়ারে লোক সমাগম অনেক বেশি হচ্ছে। আর এতে সংক্রামণ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যতে পারে। তবে সচেতনতার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ
করে যাচ্ছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দীন
শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক
দিলীপকুমার রায়,