রফিকুল ইসলাম সুইট : : পাবনায় মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে হামলায় একজন খুন হয়েছে। সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ভজেন্দ্রপুর
গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে পুলিশ আটক করেছে। নিহত ইয়াছিন প্রামানিক ভজেন্দ্রপুর গ্রামের রাজাই প্রামানিকের
ছেলে। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর ভজেন্দ্রপুর জামে মসজিদে
ইমাম নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মসজিদ কমিটিসহ মুসুল্লীদের বৈঠক হয়।
বৈঠকে মসজিদ কমিটির সভাপতি ইমান মন্ডলের সাথে মুসুল্লী ইয়াছিন প্রামানিকের বাকবিতান্ডা বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে ইমান মন্ডল মোবাইল ফোনে
তার ছেলে ও নাতিদের খবর দেন। খবর পেয়ে ছেলে নাসিম মন্ডল, সোহানুর রহমান সোহান মন্ডল, নাতি রাব্বি ও লিটন ঘটনাস্থলে এসে ইয়াছিন প্রামানিককে
এলোপাথারী মারধর করেন। এতে ইয়াছিন প্রামানিক গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইয়াছিন প্রামানিকের ভাই কলেজ শিক্ষক শাহাদত হোসেন জানান, মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় গ্রামবাসী সম্মিলিত ভাবে মসজিদের ইমাম নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নিলেও অনিয়ম ও অনৈতিক ভাবে ইমাম নিয়োগে চাপ দেন সভাপতি ইমান
আলী মন্ডল। গ্রামবাসী তার কথা মেনে না নেওয়ায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে তার ছেলে ও নাতিদের মোবাইলে খবর দেন। খবর পেয়ে ইমান মন্ডলের ছেলে মালিগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসিম মন্ডল, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির
সদস্য সোহানুর রহমান ওরফে সোহান মন্ডল, নাতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি ও নাতি ছাত্রলীগ কর্মী লিটন ঘটনাস্থলে এসে কারও সাথে কোন কথা না বলেই ইয়াছিনকে বেধরক মারপিট করে। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত
পৌনে দুইটার দিকে আমার ভাই মারা যান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ইমান মন্ডল পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাসিম মন্ডলকে আটক করা হয়েছে। অন্যরা আত্মগোপন করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে অভিযান চালিয়ে বাকিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।