ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীর ভোগ্যপণ্যের বাজারেও করোনার প্রভাব পড়েছে। গুজবে ভোগ্যপণ্য কেনার হিড়িক পড়ে যায়। ঈশ্বরদী বাজারের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধিতে মেতে উঠে। শুক্রবার সকালে চাল ব্যবসায়ী ,কাঁচামালের আড়ত ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে বেশি দামে বিক্রি এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকার অভিযোগে ৮ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীকে মোট ১লাখ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় একটি কাঁচামালের আড়তের ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে তাদের গ্রেফতারের জন্য একটি আড়তে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসকে (কোভিড-১৯) পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম এক দিনের ব্যবধানে শুক্রবার ৩০ টাকা হতে ৬০ টাকা কেজিতে দ্বিগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করছিলেন। ৬০ টাকা কেজির রসুন ৯০ টাকা। মিনিকেট ও বাঁশমতি চাউলের দাম তিন দিনে কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে খুরচা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল।
অবৈধ মজুত ও চালসহ নিত্যপণের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির দায়ে শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহল। বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় প্রচাীনতম আনন্দ দত্তের আড়তের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের না পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ মহল আড়তে পুলিশ মোতায়েন পূর্বক এবং ওই ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। মমতাজ মহল জানান, পলাতক ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাউল ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিনকে ৫০ হাজার, কাঁচামালের আড়তের ৪ জন ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার ৫শ’ এবং রেলগেটের তিনটি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট হতে ৫০ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়েছ।
এরআগে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে পরিষদ মিলনায়তনে এক সভার আয়োজন করেন। এই সভায় তিনি সুযোগ গ্রহন করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অযথা মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য আহব্বান জানান।