সোহেল রানা সোহাগ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই নির্দেশ দিয়েছেন যাদের থাকার জায়গা নেই খুজে বের করে বাসস্থান করে দিতে ঠিক তখন সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পড়ে থাকা জায়গায় গরীব ও হতদরিদ্রদের প্রায় ২০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। এখন গৃহহীন পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসহায় ওই পরিবারের মানুষগুলো।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকা মূলের সরকারী জায়গা থেকে ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় গত বছরের ১৩ নভেম্বর। এর মধ্য রয়েছিল প্রায় ২০টি হতদরিদ্র পরিবার। উপজেলার পৌর শহরের টিএন্ডটি অফিসের উত্তর পাশে জরাজীর্ন একতলা দুটি রুম বিশিষ্ট পানি ন্নয়ন বোর্ডের একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসে নেই কোন কার্যক্রম বা অফিসিয়াল কাজ। পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে আঞ্চলিক সড়ক।
সে সড়কে পাশে ভুমিহীন গরীব ও অসহায় প্রায় ২০টি পরিবার ঘর তুলে মাথা গোজার ঠাই পেয়েছিল। কিন্তু সেই ঘরগুলো উচ্ছেদ করায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। গৃহহীন বিষু মিয়া (৬৫) জানান, আমার সম্পদ বলতে কিছু নেই। মাথা গোজার ঠাই ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের পড়ে জায়গা একটি কুড়ে ঘর। সে ঘরটি উচ্ছেদ করে দেয়ায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে আছি। অন্যর জায়গায় আছি কযেকদিনের সময় নিয়ে এখন আল্লাহ জানেন কি হবে? তাছাড়া এমন প্রতিটি পরিবারের একই দুবির্ষ অবস্থা। এ দিকে উচ্ছেদকৃত ওই জায়গাগুলো এখনো পড়ে রয়েছে কিন্ত সে জায়গাগুলো কোন কাজেই আসছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের। স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ২০ কোটি টাকা মুল্যের সরকারী জায়গা থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় গত বছরের ১৩ নভেম্বর। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, চলনবিল অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম প্রোগাম রয়েছে। তাছাড়া মন্ত্রনালয়ে ওই জায়গায় ভবন নির্মানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে, হয়তো আগামী মাসেই নতুন ভবন নির্মান কাজের কার্যক্রম শুরু হবে। ওই অফিস থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার প্রতিটি ভুমিহীন পরিবারকের জায়গা ও ঘর দেয়া হবে এজন্য তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে।