করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হবার আহ্বান জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বলেছে, করোনাকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং গুজব ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।
তিনি বলেন, ‘বাজারে কিছু স্পেসেফিক পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ও দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাফস, হ্যান্ড পরিষ্কারকের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা দেশের সাতটি স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। আমরা ৪৫ লাখ টাকার ওপরে অসাদু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছি।’
‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দেখছি যে, কিছু গোষ্ঠী বা লোক করোনাকে পুঁজি করে নেগেটিভ বা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, প্রচার করছেন, যা গুজবের সৃষ্টি করছে। আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমরা ২-৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। আরও অনেকে নজরদারিতে রয়েছেন। র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল ও র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক মনিটর করছে। বাড়াবাড়ি করলে কার্যকরী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
করোনা পরিস্থিতিতে র্যাব ঠিক কোন কোন বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছে? জানতে চাইলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার এ পরিচালক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে আমরা অসাদু ব্যবসায়ীদের নিবৃত করার চেষ্টা করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন সহনীয় পর্যায়েই থাকে। গুজবের মাধ্যমে জনমতে করোনা নিয়ে কিংবা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি যাতে না হয়, সেজন্য র্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে সরকার প্রদত্ত যে কোনো আদেশ বাস্তবায়নে র্যাব প্রস্তুত।’
করোনা নিয়ে কীভাবে গুজব সৃষ্টি করছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েকটা সাইটের মাধ্যমে উদ্ভট ও বিভ্রান্তকর তথ্য বানিয়ে তা প্রচারের মাধ্যমে মূলত গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এমন তিনজনকে গ্রেফতার ও অর্ধশতাধিককে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব। বর্তমান বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে।’
করোনায় আতঙ্কিত হয়ে বাজারে হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা না করারও অনুরোধ জানিয়েছে র্যাব। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘বাজারে নিত্যপণ্যের অভাব নেই। সংকটও নেই বরং যথেষ্ট জোগান রয়েছে। সুতরাং বেশি বেশি কেনাকাটা করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন না।’