নাটোর প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পৌরসভার দুই শতাধিক বয়স্ক প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের গণ সমাবেশ ঘটিয়ে তালিকা যাচাই বাছাই করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল । বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার বাগাতিপাড়া পৌরসভা চত্বরে গণজমায়েত করে তালিকা যাচাই বছর করেন উপজেলা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পাশাপাশি সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয় । একই সক্সে¹ গণজমায়েত এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয় । এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ভাতাভোগীদের যাচাই বাছাইয়র নামে দুই
শতাধিক লোকের গণজমায়েত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন জনসাধারণ ।
এলাকাবাসীরা বলছেন, করোনাভাইরাসে খুবই আতঙ্কেরয়েছি আমরা। সরকারিভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসায় আতঙ্ক কিছুটা হলেও কমেছে আমাদের। এরপরও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাগাতীপাড়ার ইউএনও এবং সমাজসেবা অফিসার বাধ্য করেছে দুই শতাধিক বয়স্ক ,প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা ভোগীদের যাছাই বাছাই কমিটির সামনে ঊপস্থিত হতে ।আমাদের এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি ভাবলে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গণজমায়েত করতেন না।
বাগাতিপাড়ার পৌরসভার সোনাপাতিল গ্রামের ব্যবসায়ী আহম্মেদ আলী বলেন,সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্বেও গণজমায়েত করা ঠিক হয়নি । এখানে উপস্থিত হতে ভাতাভোগীদের বাধ্য করা হয়েছে ।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রেজাউল করিম বলেন. মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে ১লা মে মধ্যে ভাতাভোগীদের তালিকা না পাঠালে বরাদ্দ ফেরত চলে যাবে ।তাই বাগাতিপাড়া পৌর এলাকার বয়স্ক প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের ভাতা বাস্তবায়নকারী কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাদের যাছাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয় । তাছাড়া এখানে কোন করোনা রোগী উপস্থিত ছিলনা ।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন,দাপ্তরিক কাজে গণ জমায়েত করতে নিষিদ্ধ করেনি সরকার । তাছাড়া ভাতাভোগীদের যাচাই বাছাই এখন না করলে এই বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে । ১লা মে তালিকা পাঠানোর শেষ তারিখ থাকলেও তালিকা তৈরীর কাজ শেষ করতে অনেক কাজ করতে হবে ।