গোপলা নদীর উন্মুক্ত জলাধার বন্ধ করে মাছ নিধন

শ্রীমঙ্গলে গোপলা নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত সানন্দা কোচের খাল, দক্ষিণের খেও বিল, বৌলারদারা থেকে বড়ছড়া, চেংড়া বিলসহ আশ-পাশের এলাকার বিভিন্ন খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকতা ও সাতগাঁও পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ও সানন্দা উন্নয়ন সংগঠন ( রেজি নং- মৌলভী- ২৫১) এর সভাপতি/সম্পাদকসহ সংশিস্ট অন্যান্যদের যোগাযোগীমূলে প্রকাশ্য সেচ দিয়ে মাছ নিধন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশিষ্টরা সময় ক্ষেপন করেন
এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মাছ নিধনকারী প্রভাবশালী মহলের কাছে
তথ্য দাতার নাম ও মোবাইল নাম্বার তুলে দেন। ফলে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তথ্য
দাতাকেই হয়রানী ও নানামুখী ভয় দেখানো হয়। ঘঠনার সত্যতা জানতে সর্বশেষ এ
প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক ঘঠনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়-গোপলা নদীর
উপর দিয়ে প্রবাহিত সানন্দা কোচের খাল, দক্ষিণের খেও বিল প্রকাশ্য সেচ দিচ্ছেন
মির্জাপুর লামা পাড়া গ্রামের জমাত মিয়ার পুত্র আয়মন আলী, দরবেশ উলাহর পুত্র
মানিক মিয়া, আছদ্দর আলীর পুত্র মাহমুদ মিয়া, ফরিদ মিয়ার পুত্র সুজন মিয়া,
এশাই উলাহর পুত্র আজির মিয়া ও শাবান মিয়াগংরা। সরকারী জলমহাল কিংবা খাল-
বিল সেচ দিয়ে মাছ নিধন করা যাবেনা এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, আমরা উপজেলা প্রশাসন ( নির্বাহী কর্মকর্তা) ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশেই মেশিন লাগিয়েছি। আমরা টাকা দিয়ে মাছ ধরছি, বিয়টি সকলেই জানে। দীর্ঘদিন থেকে এমন দৃশ্য চলমান থাকায় অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে স্থানীয় হাওর গুলো। হাওর-নদী এখন একেবারেই ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। ক্ষতিগ্রস্থ হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের দাবী মৃত্যু পথ যাত্রী হাওর গুলো বাচাঁতে প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা দ্রুত বাস্তবায়ঢনের দাবী জানিয়েছেন। মাছের রাজ্যখ্যাত ঐতিহ্যবাহী গোপলা নদীসহ আশে পাশের খাল-বিল চলছে দখলের মহোৎসব। দখল হয়ে গেছে বিশাল এই হাওরের অনেক ভূমি। অপরদিকে, বিভিন্ন স সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি
ছাড়াও বিপুল প্রাণী বৈচিত্র্যের আধার এই হাওর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
হাওরটিকে রক্ষার জন্য সভা সমাবেশ মানববন্ধনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন কাজ হচ্ছে না উদ্ধারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশিষ্ট কর্মকর্তারা মুখে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও বাস্তবে তারা অবৈধ লেনদেনের কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যেনো অনেকটা জেগে ঘুমিয়ে থাকা। অভয়াশ্রম সংলগ্ন হাইল হাওরের মৎস্য ও জলাভূমি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মূখে পড়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ননী
গোপাল রায় গোপলা নদী বেআইনীভাবে কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সরকারী রাজস্ব
ফাঁকি লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাতের প্রতিকার প্রার্থনা করে নৌপরিবহন
মন্ত্রনালয়ের সচিব, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৯, উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশিস্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও সুফল আসছেনা।
প্রভাবশালীরা তাদের দাখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে।