ঈশ্বরদীস্থ রেলওয়ে নাজিমউদ্দিন হাই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি’র নামে নামকরণের দাবী জানিয়েছে ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠন। সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মিন্টু’র নের্তৃত্বে আওয়ামী লীগ, রেল শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ হতে পাকশীতে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আসাদুল হকের কাছে এই দাবী জানানো হয়।
এসময় নেতারা বলেন, তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তনের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারী পল্টন মযদানে জিন্নাহর সাথে সুর মিলিয়ে ষোষণা করেছিলেন ‘একমাত্র উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ এই বায়ান্ন সালেই ঈশ্বরদীতে নাজিমউদ্দিনের নামে রেলওযে হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেহেতু পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের নাম সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হচ্ছে, সেহেতু এলাকার সর্বস্তরে এই স্কুলের নাম পরিবর্তনের দাবী উঠেছে। সেই সাথে এলাকার বর্ষিয়ান নেতা যিনি ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা, ৫ বারের নির্বচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের নামে স্কুলটির নামকরণের জন্য এখন স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ একাট্টা। এব্যাপারে গত ১৩ মার্চ উপজেলা আওয়ামী সভায়ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় ডিআরএম আসাদুল হক বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠিত হযেছে। নতুন নামকরণের প্রস্তাব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করবেন বলে তিনি জানান।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রশীদুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল ইসলাম হব্বুল, জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম বাবু মন্ডল, পাকশীর চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম এনাম বিশ্বাস, উপজেলা রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন, পাকশী রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, পৌর যুবলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব, ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান রনিসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ২০১৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রথম নাজিমউদ্দিনের নাম পরির্বতনের দাবী জানানো হয়। গতমাসে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঈশ্বরদীর সর্বস্তরে নাজিমউদ্দিনের নাম পরিবর্তনের দাবী উঠে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ হতে এই দাবিতে শ্লোগান দেয়া হয়।
স্বাধীনতা অর্জনের পর ৪৮ বছরে সকল ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দোসরদের নাম পরিবর্তন হলেও ঈশ্বরদীর এই স্কুলটির নাম অদ্যবধি পরিবর্তন না হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষ এখন এই দাবী বাস্তবায়নের জন্য একাট্টা।