মধ্যরাতে প্রেমিক যুগল থানায় বলল আমি আলামিনকে নিয়ে পালিয়েছি “প্রেমিকা”

ইয়ানূর রহমান : প্রেম মানে না জাতকুল মানে না কোন বাধা। তাই প্রেমকে চিরস্থায়ী করতে প্রফেসরের মেয়ে এক সাধারন পরিবারের ছেলেকে নিয়ে উধাও। মেয়ের পরিবার এ ঘটনা মেনে নিতে না পেরে থানায়
এসে মামলা দায়ের করেছে, আমার মেয়েকে জোর করে নিয়ে পালিয়েছে আল-আমিন নামে এক যুবক। আর মেয়ে বলছে আমি নিজেই ছেলেকে
নিয়ে পালিয়েছি।
ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামে। সানজানা আফরোজ শার্শার চটকাপোতা গ্রামের প্রভাষক হাবিবুর রহমানের মেয়ে। আর আল-
আমিন বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে।
সানজানা আফরোজের পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়ের বয়স হয়নি। সে এখনো বিয়ের উপযুক্ত হয়নি। ছেলে তাকে তদবীর করে নিয়ে গেছে।
অপরদিকে সানজিদা বলেন, আমার বয়স ১৮ বছর হয়েছে। আমি জানি।
সার্টিফিকেটে আমার বয়স কম দেওয়া আছে। আমি আল-আমিনকে ভালবাসি। আমি তাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছি। তার কোন দোষ
নেই। এসএসসির প্রবেশ পত্র এবং জন্ম নিবন্ধে মেয়েটির জন্ম তারিখ রয়েছে ৭/০৩/২০০৪। সে অনুযায়ী তার বয়স ১৬ বছর ৯ দিন।
গত এক সপ্তাহ আগে মেয়েটি পালিয়ে গেলেও মামলার কারনে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং পুলিশ তৎপর হলে গতরাত একটার সময় প্রেমিক
যুগল বেনাপোল থানায় উপস্থিত হয়। এসময় মেয়েটি থানায় প্রবেশ করে ওসি মামুন খানকে বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার
বয়স ১৮ বছর হয়েছে আমি জানি।
মেয়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, মেয়েকে আল-আমিন নামে যে ছেলের সাথে গিয়েছে এটা আমাদের পারিবারিক ভাবে মেনে নেওয়া
যাবে না। ওর পিতা মাছ বাজারে কাজ করে। অপর দিকে মেয়েটির পিতা

একটি কলেজে শিক্ষকতা করে। এছাড়া বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামে রয়েছে
মেয়ের নানা বাড়ি। তারা এখানকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের লোক। সব
কিছু মিলে সামাজিক ভাবে আমরা এই ছেলেকে মেনে নিতে পারব না।
এব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, উদ্ধারকৃত যুবক ও মেয়েটিকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মান্যবর
আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন।