মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে লিচুর বাগানগুলো। মুকুল ও গুঁটি ধরে রাখতে এখন সার, কীটনাশক ও সেচ দিয়ে নিবির পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিকরা। সেই সাথে রাজধানী ঢাকার বেপারী, আড়ৎদার ও মহাজনেরা উপজেলার নাজিরপুর এলাকা ঘুরে দেখছেন এবং অগ্রিম বায়না দিয়ে লিচুর বাগান কিনে নিচ্ছেন।
জানা যায়, গত মওসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারণে লোকসান গুনলেও এবারের মওসুমে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়াতে চান বাগান মালিকরা। মুকুলের সমারোহে ভরে ওঠা ডালপালাগুলো বাতাসে দোল খাওয়ায় সৌন্দর্যের শোভা ছড়াচ্ছে উপজেলার লিচু বাগানগুলো। এবার শীত ও কুয়াশা বেশি থাকায় লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মুকুল ঝরে পড়া রোধে যেনতেন কীটনাশক প্রয়োগ না করে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
মামুদপুর গ্রামের লিচু চাষী আলেক, হিটলারসহ অনেকে বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লিচু গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। দুর্যোগ না এলে ভাল ফলন হবে। উপজেলার নাজিরপুর, মামুদপুর, মোল্লাবাজার, ঝাউপাড়া, বিন্যাবাড়ি, নাড়িবাড়ি, সোনাবাজু ও বিয়াঘাট এলাকায় অসংখ্য লিচুর বাগান রয়েছে। পাশর্^বর্তী অন্যান্য গ্রামেও লিচু বাগানের বিস্তার ঘটছে। এসব এলাকায় মোজাফ্ফর, মোম্বাই ও চায়না থ্রি জাতের লিচুর বাণিজ্যিক বাগান গড়ে তুলেছেন অনেকেই। এবার এ এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মেট্রিকটন লিচুর উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন চাষীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, লিচু গাছের গড়াতে বয়স ভেদে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করলে ফলন অবশ্যই ভাল হবে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান থাকলেও বাস্তবে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান হয়েছে বলে জানা গেছে