এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: অল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় বিগত বছরের তুলনায় দিনাজপুরের খানসামায় এবার বেড়েছে
ভুট্টার আবাদ।তাছাড়া ভুট্টা মানুষের জন্য যেমন পুষ্টিকর তেমনই এটি এখন পোল্ট্রি ও মাছের খাবারসহ বিভিন্ন খাবারে যুক্ত হয়েছে।আবহাওয়া
অনূকুলে থাকলে এবং বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,২০১৯-২০ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা
ছাড়িয়ে ৭৪০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে যা ২০১৮-১৯ মৌসুমে ছিল ৭২০০হেক্টর।
ভূট্টা চাষ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ এবছর ৮০০জন কৃষক কে প্রণোদনা সহায়তা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্রায় সব জায়গায় পুরো
ফসলের মাঠ এখন ভুট্টার সবুজ ক্ষেতে ভরে গেছে আর পাকেরহাট,খামারপাড়া,হাসিমপুর গ্রামে দেখা যায় গাছগুলো বেশ বড়ও হয়ে
উঠেছে।এখন ভুট্টা ক্ষেতগুলোর পরিচর্যা,নিড়ানী এবং সেচ কাজসহ নানা কর্মযজ্ঞ চলছে। কোথাও গাছগুলো হাঁটু সমান আর কিছু এলাকায় আগাম
ভুট্টা রোপণ করায় গাছ মানুষের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কোথাও কোথাও গাছে মোচা এসেছে। এসব ফলন আগাম ঘরে তোলা যাবে বলে
জানান কৃষকরা।
পাকেরহাট গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান,গত মৌসুমে ধানে লোকসান হওয়ায় এবছর ২বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি।ধানের তুলনায়
ভুট্টা উৎপাদন খরচ ও সময় দু’টোই কম লাগে।তাই অনেকেই ভুট্টার আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ.ম.জাহেদুল ইসলাম জানান,এবছর ভুট্টার চাষের অবস্থা ভালো আর এখনও কোন রোগ বালাই আক্রমণ না করলেও “ফল আর্মি ওয়ার্ম” পোকা প্রতিরোধ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান,ভূট্টা একটি লাভজনক
ফসল।তাছাড◌়াও ভূট্টার বাজারমূল্য ভালো থাকায় আর সেচের পানি কম
লাগায় কৃষকরা ভূট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।তবে ভূট্টার ক্ষতিকর বালাই “ফল
আর্মি ওয়ার্ম” সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভূট্টার
পোল্ট্রি ফিড ব্যতীত এর বহুমুখী ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে এই
ফসলটির স্থায়িত্ব এবং চাষাবাদ আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে।