মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ অবিলম্বে বিদ্যুত-গ্যাস-পানির বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার ও নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবি জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা
হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের(রেজিঃ নং চট্টঃ২৩০৫)। জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় বক্তারা দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিসহ বর্তমান
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অগ্নিমূল্যের বাজারে যখন শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনগণ দিশেহারা তখন সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে নতুন করে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধিকে ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে বিদ্যুত-গ্যাস-পানির বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার ও নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবি জানান। জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
বর্ধিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন- হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন,
কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ ছায়েদ মুন্সী, শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির
সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কমিটির
সাবেক সভাপতি মোঃ জামাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম,
হোটেল শ্রমিকনেতা আহাদ আলী বাবুর্চি, আব্দুল আলীম বাবুর্চি, সুমন মিয়া প্রমূখ। সভায় বক্তারা আরও বলেন ২০০৯ সালের পর সরকার নতুন করে গত ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নি¤œতম মজুরির গেজেট(এসআরও নং ৩৮-আইন/২০১৭) প্রকাশ করেন, বর্তমান ঊর্দ্ধগতির বাজারদরে
সরকার ঘোষিত মজুরিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একজন শ্রমিক ১০ দিনও চলতে
পারবে না। তারপরও মালিকরা সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি কার্যকর না করে বে-
আইনীভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এমন কি গত ৮ জানুয়ারি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বাংলাদেশ শ্রমআইনের ৫ ধারা মোতাবেক সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান সিদ্ধান
গ্রহণ করা হলেও অদ্যাবধি হোটেল মালিকরা শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র
প্রদান করেননি। শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও
আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে হয়। আমরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা
অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হই। সভায় আগামী ১৭ এপ্রিল মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের(রেজিঃ নং চট্টঃ২৩০৫) ৫ম সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বিস্তারিত
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভা থেকে রমজান মাসে বিনাবেতনে বেআইনী শ্রমিক
ছাঁটাই বন্ধ, ঈদুল ফিতরে সকল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব
বোনাস প্রদান, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস উপলক্ষে ১ মে মহান মে দিবসে স্ববেতনে স্বর্বাত্মক ছুটি কার্যকর, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ
নি¤œতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত
নি¤œতম মজুরি কার্যকর, ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্রসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন, চাল ডাল তেল লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো,
দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল, সর্বস্তরে রেশনিং চালু,
গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়নের দাবি জানান।