লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ১হাজার ২শত ৫০টি আশা ব্রাঞ্চের ১৮ হাজার ৯শত ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে
দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের প্্রায় ৫০ হাজার শিশু শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসুচির সুবিধা পাচ্ছে। আশা ২০১১ সাল থেকে দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তা ও স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া রোধে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ’ কর্মসুচি
সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালনা করছে। মঙ্গলবার আশা” লালমননিরহাট জেলা শাখার
আয়োজনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আশা প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরন কর্মসুচি
‘শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও দিনব্যাপি এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাট জেলায় ৩২টি ব্রাঞ্চের মধ্যে ১৬টি ব্রাঞ্চের ২শত ৪০টি মিক্ষা কেন্দ্রের
মাধ্যমে ৭ হাজার ২শত ১৬ জন শিশুি শক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসুচির
সুবিধা পাচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা কেন্দ্রে ১ জন শিক্ষা সেবিকার মাধ্যমে পাঠদান
পরিচালিত হয়। আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হকের
সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিেলন, জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, জেলা
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী, আশার সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম
প্রমুখ। আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক বলেন, লালমনিরহাটে বে-সরকারী সেচ্ছাসেবী সংগঠন আশা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের
সহায়তা ও স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া রোধে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরনে দির্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আশা’র এই কর্মসুচির সফল বাস্তবায়ন এবং শিক্ষা সেবিকাগণকে উৎসায়িত করার জন্য আশা’র আজকের এই আয়োজন। এ সময় আশার
শিক্ষা সেবিকাগণ শিশুদের শিক্ষা প্রদানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও ঝড়ে পড়া এই শিশুদেও শিক্ষা, অক্ষরদানে তাদেরকে বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদানের আবেদন জানান। সরকারের
সহায়তায় পরিচালিত লালমনিরহাটের আশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাগন অংশ নেয়।