নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :: ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার একমাত্র স্বনামধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউট। জেলার একমাত্র প্রতিষ্ঠানে ২৮৮ জন নার্সেস শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৭ জন প্রশিক্ষক। ২ জন প্রশিক্ষক ডেপুটিশনে থাকায় প্রশিক্ষকের দুটি পদ খালি রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য প্রধান উপকরন শিক্ষক
অথচ এই প্রতিষ্টানে বায়োলজি বিষয়ে পাঠদানের জন্য কোন শিক্ষকই নেই। অনলাইন ভিত্তিক পাঠক্রম হলেও নেই ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী কক্ষ।
নেই ফুল টাইম হাউজ কিপার, নেই নাইট গার্ড। ছাত্রী হোষ্টেলে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে পানি বিল্ডিং উপরে তোলার জন্য ২টি পাম্প ছিলো প্রায় তিনমাস ধরে পাম্প ২টি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তাই প্রতিদিন ব্যবহারের পানি ছাত্রীদের বালতিতে করে হোষ্টেলে উপরে তোলতে হয়। নেই সুপেয় পানি ব্যবস্থা। এছাড়া ল্যাট্রিন সমস্যাও নতুন নয়। নারী বান্ধব ল্যাট্রিন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। ১শত জন নার্সিং ছাত্রী হোষ্টেলে ভাঙ্গাচুরা দরজা আছে তো ছিটকিনি নেই।
এমতাবস্থায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউট । গত ১১ জানুয়ারি ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে ক্লাশ শুরু হয়ে এত অসামঞ্জস্যতার পর চলছে আগামীর নার্স তৈরীর প্রতিযোগিতা।
এসব বিষয়ে রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ কৃষ্ণা চাকমা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন বয়োলজি শিক্ষকের জন্য রাঙামাটি সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজে গেছি কিন্তু কোন শিক্ষক পায়নি। আমাদের বাজেট নেই। এত বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা বাজেট তো পর্যাপ্ত নয়। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা প্রয়োজন, খন্ডকালিন বায়োলজি শিক্ষকের সম্মানী ভাতাও নেই, তাছাড়া ৫ শত টাকা সম্মানী একজন শিক্ষকের জন্য যথেষ্ট নয় তাই কোন ডাক্তারও ক্লাশ নিতে চায়না। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে হাউজ কিপার নেই, আমি ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি দায়িত্বভার নিই।
হস্তান্তরিত বিভাগ হিসেবে রাঙামাটি জেলা পরিষদ থেকে মাষ্টারুলে একজন হাউজ কিপার রয়েছে তাকে আমরা ফুল টাইম রাখতে পরিনা। প্রশিক্ষকের দুটি শূন্যপদ এবং বায়োলজি শিক্ষকের জন্য সংকট নিরসনে তার উদ্যোগের বিষয়ে কৃষ্ণা চাকমা বলেন আমি রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রত্যেকটা মিটিংয়ে মৌখিকভাবে বলেছি, লিখিত আবেদন করেছি, শুধু জেলা পরিষদ নয় আমি প্রশিক্ষকের শুণ্যপদ পুরনে এবং বায়োলজি শিক্ষকের জন্য বাংলাদেশ নার্সিং ও
মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরেও আবেদন করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নাই। কৃষ্ণা চাকমা বলেন যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক সিলেবাস তাই ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত জরুরী, ছাত্রছাত্রীদের টিচিং ম্যাটেরিয়াল যেমন মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ অত্যাবশ্যক আমি জেলা পরিষদ থেকে না পেয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের ইক্যুপমেন্টের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করি কিন্তু কোন কাজ হয়নাই ।
সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যুগোপযোগী
ডিজিটাল পাঠক্রমের আওতায় আনার ঘোষনা দিয়ে কাজের উদ্যোগ নিয়েছে যা প্রসংশনীয়। রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউট ও এর বাইরে থাকবেনা, অবকাঠামোগত চাহিদা
পুরণ করে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক সংকট নিরসন করে ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের আওতায় আসবে এটা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা। #