গোদাগাড়ীতে প্রাইভেটকারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে যাবার পথে প্রাইভেটকারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে রমজান আলী (৪০) নামে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার কেল্লাবারুইপাড়া মহল্লায়। মর্মান্তিক শনিবার এ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন শুধু রমজানের মেয়ে রাফিয়া খাতুন (৮) বেঁচে আছে। তবে তার অবস্থায়ও সংকটাপন্ন। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশাররফ হোসেন রমজানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোর ৬টার দিকে রমজান মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত রমজানের আলীর চাচা শ্বশুর আবদুল খালেক জানিয়েছেন, রমজান পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার শ^শুরবাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর চর চাকলাম গ্রামে। শনিবার তার শ্যালক সেলিম রেজার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। শনিবার সেলিম গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লায় বিয়ে করতে আসেন। আর এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে রাজশাহী আসেন রমজান। রাতে নগরীর মেহেরচÐি এলাকায় ভাইরা ভাই মোসাব্বির হোসেন আকাশের বাসায় থাকেন। পরদিন দুপুরে রমজান ও আকাশ তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে মহিষালবাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের সাহাব্দিপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এরপর উল্টে গিয়ে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আর স্থানীয়রা ছয়জনকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। পরে রমজানও মারা গেলেন। নিহত অন্যরা হলেন- রমজানের স্ত্রী আসিয়া বেগম (৩৫), ভাইরা ভাই মোসাব্বির হোসেন আকাশ (৪০), আকাশের স্ত্রী হোসনে আরা (৩৪), তার মেয়ে মুসফিরা খাতুন (৭), ছেলে আদিব আল হাসান (১), প্রাইভেটকার চালক আশেক মাহবুব রাজীব (৩৫) এবং রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রী আতিয়া খাতুন পূর্ণিমা (২৩)। পূর্ণিমার সঙ্গে নিহত অন্যদের সম্পর্ক কি তা এখনও জানা যায়নি।