রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনুপামপুর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায়ই তালাবদ্ধ অবস্থাতেই রয়েছে।এতে করে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার জনসাধারন। অভিযোগ উঠেছে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারি ও কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভাইডারের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি ও কর্তব্য অবহেলার। ফলে সরকারি চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিনই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধের পর অনেক রোগী এখানে এসে বসে থেকে কোন সুবিধা না পেয়ে চলে যান। এব্যাপারে ভুক্তভুগী রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ,চারঘাট ইউনিয়নের অনুপামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না।
চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এবং ক্লিনিকের বারান্দায় টানানো আছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসক বসেন। কিন্তু গত তিন মাস ধরে ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে। মাঝে মধ্যে দশ বিশ মিনিটের জন্য খোলা হলেও রোগীদের কাউকে ওষুধ সরবারহ করা হয় না। প্রতিদিন ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় রোগীদের। নারী রোগীরা অনেক সময় ক্লিনিক বন্ধ দেখে পাশের বাড়িতে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করে পরে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দা রমেলা বেগম জানান, এখানে নিয়মিত রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা পান না। অনিয়মিতভাবে চলে কমিউনিটি ক্লিনিক।
প্রায়ই বন্ধ থাকে ক্লিনিকটি। সপ্তাহে দুই তিন দিন খোলা থাকে তাও আবার দশ বিশ মিনিটের জন্য। তিন মাস ধরে কোনো রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয়না। কোন দিন চিকিৎসক আসবে তা বলা মুশকিল। ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইডার (সি এইচ সি পি) শ্যামলী খাতুন জানান, তিনি ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন,আর সে জন্যই প্রায় তিন মাস ধরে ক্লিনিকে আসেন না। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন এমনটা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকের সাপ্তাহিক ছুটি শুধু মাত্র শুক্রবার। এবং শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে নিয়মিত। কিন্তু কারনে ক্লিনিক বন্ধ আছে কিছুই জানেন না তিনি। তবে ঐ ক্লিনিকের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।