শ্রীমঙ্গলে হাসান হত্যার পর মাকেও নির্মমভাবে হত্যা হুমকিতে বাড়ি ছাড়া বাদী

শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক পৃথক হামলায় নিহত মোঃ হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যায় আতৎকিত হয়ে পড়েছেন সিএনজি চালক মোঃ জাফর আলী। মামলার আসামীরা এবং তাদের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখায় বাড়ি ছাড়া। প্রভাবশালী সৎ ভাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আছিদ আলী এবং সিলেট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশও বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেনা। জানা গেছে- গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্র“য়ারী উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে সৎ ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই রিপন মিয়া, তার ভ্রাতুসপুত্র জয় মিয়া ও এলাকার নাঈম মিয়া মিলে ভাই হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্র“য়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মৃত্যু বরণ করেন।

একই ভাবে গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর সন্তান আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলী, দিলারা বেগম, আব্দুল আলী, শিউলী বেগম, জামিল মিয়া, শাকিল মিয়া ও তারেক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে-মিশে সন্ত্রাসী কায়দায় জাফর আলী ও তার মা মায়া বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। জাফর মৃত্যুর সংবাদটি সংশি¬ষ্ট থানায় ( জিআর -৩৭৮/১৯ (শ্রী) দঃ বিঃ ৩০২ ধারা সংযুক্তিক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশকে লিখিত ভাবে ও মৌখিকভাবে অবহিত করলেও আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তাছাড়া সুরতহাল রির্পোটে মারামারিতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কারণ উলে¬খ তাকা সত্তেও শুধুমাত্র চাকুরীজীবি সৎ বোন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক সৎ ভাইগংদের কারণে পুলিশ ২টি হত্যা ( হাসান ও তার মা মায়া বেগম) কান্ডের ঘঠনায় রয়েছে নিরব। সিএনজি চালক মোঃ জাফর আলী জানান- মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলার আসামী ও তাদের লোকজন মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চড়াও হয়। মামলা তুলে নিতে তাদের অব্যাহত ভয়-ভীতির কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আসামীরা মারামারির মামলায় জামিন প্রাপ্ত হওয়ায় এবং পৃথক পৃথক হত্যা কান্ডের ঘঠনায় পুলিশ দায়িত্বসহকারে তাদের তাদের দায়িত্ব পালণ না করায় পৃথক পৃথক মামলা ২টিতে আজও দঃবিঃ আইনের ৩০২ সংযুক্ত করা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহার না করে বাড়িতে গেলে মা এবং ভাইয়ের মতো আমাকেও মতো খুন করা হবে।