নেত্রকোনার কলমাকান্দায় প্রচন্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার রাতে হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কলমাকান্দা সদর, নাজিরপুর ও খারনৈ ইউনিয়নের বিশাড়া, চান্দুয়াইল, নাগডড়া, ভেলুয়াতলী, ইয়ারপুর, নলছাপ্রা,
রহিমপুর, রামপুর, রাণীগাও, শ্রীপুরসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের আবাদকৃত সবজি
বিশেষ করে কুমড়া, মরিচের চারা, করলা, মিষ্টি কুমড়া ও টমেটুর গাছপালা ভেঙে
ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। আর এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে কৃষি উপকরণ ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন চাষীরা। এছাড়া ঝড়ের পর থেকে উপজেলায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছরে ১হাজার ২শত একর জমিতে রবিশস্যের আবাদ করা হয়েছে। তারমধ্যে কলমাকান্দা, নাজিরপুর, খারনৈ এ তিনটি ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে ১৫৩ একর রবিশস্যের ক্ষতি হয়েছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের ভেলুয়াতলী গ্রামের কৃষক হাবিব মিয়া যুগান্তরকে বলেন,
ধার-দেনা করে দেড় একর জমিতে প্রায় তিনলক্ষ টাকা ব্যায়ে কুমড়া ও মরিচের চাষ করি। শিলাবৃষ্টিতে গাছগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। বুঝে পাচ্ছিনা কি করে ঋণ পরিশোধ করব আর কিভাবেইবা ছেলে মেয়েদের নিয়ে সংসার চালাব। কৃষক হাবিব মিয়ার মত নলছাপ্রা গ্রমের কৃষক রুবেল মিয়াসহ একাধিক কৃষক একই রকম মন্তব্য করে বলেন, আমরা সরকারের কাছে কৃষি উপকরণসহ আর্থিক সহযোগিতার
দাবি জানাই।
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির কথা স্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুক
আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫৩ একর রবিশস্য আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আর্থিক ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক তালুকদার ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও কৃষকদের তালিকা করে নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলা হয়েছে।