এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে কয়েকদিন হলো। মাঘের শীত শেষে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে উষ্ণতা। তাপমাত্রার সঙ্গে দিনাজপুরের খানসামায় আমের গাছে গাছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মৌ-মৌ গন্ধ ছড়িয়ে আছে।
বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই বাসার ও বাগানের আমের মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন আর কেউ কেউ গাছের যতেœ বেশ মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে আম বাগান কয়েক গুণে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাকেরহাট, গোয়ালডিহি,পাঁচপীর ও হোসেনপুর গ্রামের আম গাছগুলোতে প্রচুর মুকুলের সমারোহ এবং বাগানে সাথী ফসল হিসেবে কোথাও কোথাও রয়েছে ধান,গম,আলু,পটল,মিষ্টি কুমড়া এবং রসুন।
পাকেরহাট গ্রামের সাকিউল ইসলাম জানান, এখনও সব গাছে মুকুল আসে নাই তবে সময়ের সাথে আম গাছে মুকুলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফজাল হোসেন জাবান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম গাছে ব্যাপক মুকুলের সমারোহ আর গাছে মুকুল এসেছে কিন্তু ফুল ফোটে নাই, মটর দানার মত ও মার্বেল আকার এই তিন অবস্থায় অনুমোদিত একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক স্প্রে করতে পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।