স্টাফ রিপোর্টার : পাবনায় মাসব্যাপী বইমেলাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আলোচনা সভায় অংশ নেন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক্স মেডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। তারা বলেন, এই বইমেলা জেলার শিল্প সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গণকে উজ্জীবিত করছে এই বইমেলা। মফস্বল সাংবাদিকতা এখনও প্রাতিষ্ঠানিকরূপ লাভ করতে পারেনি। তবে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের পন্যের প্রচার দিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে যা অনেকটাই উপকৃত করছে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে। সারাদেশে
পাবনার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য রয়েছে। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেসক্লাব আজো সাংবাদিকদের একটি মিলনকেন্দ্র হয়ে রয়েছে। এখানকার সাংবাদিকদের ঐক্য এবং ভাতৃত্বমূলক সম্পর্ক এখনও দেশের সকলের কাছেই অনুকরণীয় হয়ে রয়েছে।
আলোচনা সভায় অংশ নেন দৈনিক জনকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি কৃষ্ণ ভৌমিক, মানব জমিন ও একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রুমী, দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার, বাসস ও ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, মাছরাঙা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম রিজু, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক হাসান মাহমুদ এবং এশিয়া টিভি’র জেলা প্রতিনিধি শফিক আল
কামাল। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এ্যাড. মোশফেকা জাহান কনিকা ও ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
সাংস্কৃতিক পর্বে নাহার আক্তার কাজলীর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে গোপালপুর শিশু
শিক্ষা নিকেতনের শিল্পীবৃন্দ। যান্ত্রিক নাট্য গোষ্ঠীর শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তন্ময়ের পরিচালনায় শিশু
একাডেমির শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিশু একাডেমির শিল্পীরা। এছাড়াও
খান শওকতের রচনা ও আবুল কাশেমের নির্দেশনায় পাবনা
থিযেটার-৭৭ এর শিল্পীরা নাটক পরিবেশন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধায়ন করেন ডা.
রামদুলাল ভৌমিক ও মিজানুর রহমান মিজান। অসংখ্য দর্শক
এ দিন বইমেলা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন।