অনাবিল ডেস্ক
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে চলছে তীব্র অস্থিরতা। জাতীয় দলের ১৮ ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন, যার তদন্ত করছে বাফুফের বিশেষ কমিটি। তবে এই সংকটের মধ্যেই বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সমঝোতার কোনো প্রশ্ন নেই— হয় ওই ফুটবলাররা থাকবেন, না হয় আমি।’
নারী সাফজয়ী ফুটবলারদের অভিযোগ, বাটলার স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন, আর তাকে সরানোর দাবিতেই তারা একত্রিত হয়েছেন। দল থেকে যেকোনো একজনকে বাদ দেওয়া হলে পুরো দল গণঅবসরে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা লড়াই করব, তারপরই ছাড়ব।’
বাফুফের তদন্ত কমিটি খেলোয়াড়দের বক্তব্য শুনে মনে করছে, তারা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হতে পারেন। কারণ, তাদের দেওয়া চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতে দেওয়া তথ্যের ৯০ শতাংশ মিল পাওয়া যায়নি।
পিটার বাটলার বিশেষ কমিটির সামনে জানিয়েছেন, অন্তত ছয়-সাতজন সিনিয়র ফুটবলার শৃঙ্খলাভঙ্গের পাশাপাশি ক্যাম্পে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি করেছেন। যদিও তিনি নির্দিষ্ট কারও নাম প্রকাশ করেননি, তবে বাফুফের একটি সূত্র বলছে, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী সরকার, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও নীলুফার ইয়াসমিন নীলাকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাখা হবে না।
কোচের হুঁশিয়ারির পর খেলোয়াড়রা আরও কঠোর অবস্থানে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ফুটবলার বলেন, ‘তিনি যদি আমাদের রেখে যেতে না চান, তাহলে আমরাও তার অধীনে অনুশীলন করব না।’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বর্তমানে এই সংকটের সমাধানের কেন্দ্রে। যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আজ বিশেষ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়বে, যেখানে কয়েকজন নারী ফুটবলারের শাস্তির সুপারিশ রয়েছে।
তাবিথ প্রথমে দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনতে চাইবেন। তবে এতে ব্যর্থ হলে বিশেষ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি সব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে খেলোয়াড়দের আহ্বান জানাবেন। তবে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবেন না।