নাটোরের রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মুখ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ মুকুলকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নাটোরের আলোচিত গণমাধ্যমকর্মী নাসিম উদ্দীন নাসিম।
কিছু মানুষ আছে, যারা যেখানেই হাত দেন সেখানেই সফল হোন। সফলতা পান। তেমনি একজন সফল মানুষ শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল ভাই। নাটোরের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতার মধ্যে যাদের বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান করি তাদের মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আহম্মেদ মুকুল ভাই একজন অন্যতম নেতা।
আরো পছন্দ করি নীতি, আদর্শ আর মানবিক গুনগুলো দেখে। মুকুল ভাইয়ের বাবা নাটোরের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্মদাতাদের একজন ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর পরম শ্রদ্ধেয় মরহুম সৈয়দ মোতাহার হোসেন। আমার খুব প্রিয় মুরুব্বী। যতদিন বেঁচে ছিলেন আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন।
যা বলছিলাম আর কি, মুকুল ভাইয়ের রক্তেই আওয়ামী লীগ হয় তো সেজন্যই সবাই যখন ব্যবসা-বাণিজ্য আর টাকা কামানোই ব্যস্ত ঠিক তখন মুকুল ভাই পরে আছে খেলাধুলা নিয়ে। তিনি ছিলেন নাটোর পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের পর পর জনগণের বিপুল ভোটে তিনবার কমিশনার ও কাউন্সিলর। নির্লোভ মুকুল ভাই এতোটায় জনপ্রিয় ছিলেন চতুর্থ দফায় জনগণের প্রচণ্ড দাবির মুখেই নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। তিনি নির্বাচন করলেন না।
তিনি জেলার খেলাধুলার উন্নয়নে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। নাটোরে শুধু খেলাধূলা নয় সমাজসেবামূলক কাজে এই লোকটি সফল। অনেক এতিম ছেলে মেয়ের বাবা আমার এই ভাইটি। সম্প্রতি স্টেডিয়াম এলাকায় গড়ে তুলেছেন আল্লাহর ঘর মসজিদ। স্বপ্ন দেখেন নাটোরে একটি বিশ্বমানের বৃদ্ধাশ্রম খোলার। আর সেটা তিনি বাস্তবে রুপ দেবেন এটাও সত্য।
শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই- এ কথাটি যিনি শুধু বলেন না, বারো মাস নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনকে মূখর করে রেখে প্রমাণ দেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল। সাদা মনের মানুষ ও সদাহাস্যমুখ নাটোর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পরপর তিনবার নির্বাচিত কমিশনার ও কাউন্সিলর ছিলেন। স্বেচ্ছায় জনপ্রতিনিধির আসন ছেড়ে দিয়ে নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব নিয়েছেন ভাই।
গত এক যুগ ধরে নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনকে তিনি সচল রেখেছেন। এই মানুষটার জন্যই বারো মাস নাটোর শঙ্কর গোবিন্দ স্টেডিয়ামে খেলাধূলা চলে। দেশের অনেক স্টেডিয়ামে আজ যখন খেলাধূলা নিয়মিত না হওয়ায় কারণে কাশ বনে পরিণত হয়েছে। ঠিক তখন নাটোরের ক্রীড়াঙ্গন বছর জুড়ে সরব। নাটোরের ক্রীড়ামোদীরা ধন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল ভাইয়ের মতো সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেয়ে।
আমি জোর গলায় বলতে পারি মুকুল ভাই দায়িত্ব নেওয়ার পর নাটোরে যত টুর্নামেন্ট বা প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে তা অন্য কারো সময় হয়নি। নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণপুরুষ তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মুকুল ভাইয়ের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, হাডুডু, ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করেন। একই সঙ্গে তিনি সব খেলার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মুকুল ভাইয়ের নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য নাটোরের সন্তানেরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখছে।
নাটোরকে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বময়। প্রায় ১০ বছর পর একদিন ঘুরতে ঘুরতে গিয়েছিলাম স্টেডিয়াম মাঠে। স্টেডিয়ামে গিয়ে মুকুল ভাইয়ের সবচেয়ে যে জিনিসটা দেখে মনটা ভরে গেল তা হলো, নাটোরের কৃতি সন্তান প্রয়াত ক্রীড়ানুরাগী আমাদের নূরুল ইসলাম ব্যাকুল ভাইয়ের নামে নাটোর শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জের নামকরণ করেছেন।
আরেক প্রয়াত নাটোরের কৃতি খেলোয়াড় মরহুম আব্দুল্লাহ আল মামুন আশরাফি (মঞ্জু) ভাইয়ের নামে সম্মেলন কক্ষের নামকরণ করা। যা দেখে সত্যিই মনটা ভরে গেল। আমার দুই প্রিয় মানুষ অকাল প্রয়াত ব্যাকুল ভাই ও মঞ্জু ভাইয়ের নামে স্টেডিয়ামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নাম রেখেছেন।
নাাটোর স্টেডিয়াম যতদিন থাকবে তাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে নাটোরের মানুষেরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ক্রীড়ানুরাগী ব্যাকুল ভাই। লোকটির অকাল মৃত্যুর পর নিজ দল যখন ভুলে গেছে প্রিয় ব্যাকুল ভাইয়ের কথা। ঠিক সে সময় ব্যাকুল ভাইয়ের নামে নাটোর স্টেডিয়ামে ভিআইপি লাউঞ্জের নাম দেখে সত্যিই ভাল লাগলো।
আরো ভালো লাগলো যখন দেখলাম মুকুল ভাইয়ের অফিসে মাথার উপর হোল অব ফ্রেমে নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা কৃতি সন্তানদের ছবি। মুকুল ভাইয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আল্লাহ তায়ালা মুকুল ভাইকে দীর্ঘজীবন দান করুন।