ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮

ইবি প্রতিনিধি:
সিনিয়রের সাথে জুনিয়রের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা
ঘটেছে। এতে ১ জন গুরতর আহতসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার
রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।বিশ^বিদ্যালয়ের মাার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী
জেভিয়ার ও আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামালের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষ বাঁধে। জেভিয়ার ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের ও কামাল ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কর্মী বলে জানা
গেছে।
সূত্র মতে, শনিবার সন্ধ্যায় কামাল শহীদ জিয়াউর রহমান হলের করিডোরে
দাড়িয়ে ছিল। এসময় জেবিয়ার তার পাশ দিয়ে গেলে কামাল তার বন্ধু মনে
করে তাকে তুই সম্মোধন করায় ক্ষেপে যায় জেবিয়ার। পরে কামাল দুঃখ প্রকাশ করলেও তাকে রুমে এসে দেখা করতে বলে জেবিয়ার।
পরে কামাল তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে জেবিয়ারের রুমে যায়। এসময়
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় সেখানে।
সিনিয়রের সাথে হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে জিয়া মোড়ে অবস্থান নেয় জেবিয়ার ও তার বন্ধুরা। বিষয়টি ছাত্রলীগের সিনিয়র
নেতারা বিচার করে জেবিয়ারের উপর হামলায় জড়িতদের হল থেকে নেমে
যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। পরে কামাল জিয়াউর রহমান হলের ২০৮ নং কক্ষে
কামাল আছে জানতে পেরে তাকে মারতে যায় জেবিয়ার, হামজা,
সালমান, স্বপ্ন, ইমতেয়াজ, জয়সহ কয়েকজন। রুম খুলতে না পেরে রুমের
জানালা ভাংচুর করে এবং দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে তারা। পরে তারা জিয়াউর
রহমান হল ও সাদ্দাম হোসেন হল থেকে আরাফাতের কর্মীরা বের হয়ে আসলে
জিয়া হল মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে হিমেল চাকমা গুরুতর আহত হয়। এছাড়া বেজিয়ার, রাব্বি, রিওন ও রাফসান সহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৮ জন আহত হয়। পরে হিমেলকে বিশ^বিদ্যালয় চিকিৎসা

কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো
হয়। বিশ^বিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রবিউল
ইসলাম বলেন, “তার মাথায় আঘাত লাগায় মোট ৪ টি সেলাই দিতে
হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক নয় তবে মাথার আঘাতে ঝুকি না
নিয়ে তাকে কুষ্ঠিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত বলেন, “সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে ভূল
বুঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। তখন তাদের মিমাংশা করে দেই। কিন্তু পরে
আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে সিনিয়রদের সাথে নিয়ে
পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।”
ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগ বলেন, “সিনিয়রদের নির্দেশনা না
মেনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে সিনিয়র নেতাদের চেষ্টায়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, “আমি
ঘটনাটি শোনার পর সেখানে যাই এবং পুলিশকে ইনফর্ম করি। পরে
ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে।”