নাটোর প্রতিনিধি.
পোষাক ও চালচলনে ভীষণ স্মার্ট। ঘোরেন বাইক আর ওয়াকিটকি নিয়ে। সম্প্রতি দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস) নামে একটি সংবাদ এজেন্সীর জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব নেন নাটোরের গুরুদাসপুরের তালবাড়িয়া পূর্বপাড়ার যুবক আবু সাঈদ। এরপর তার মাধ্যমে ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে নিয়োগ পান একই উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক যুবক। পরে দুজন মিলে গড়ে তোলে ৬জনের সংঘবদ্ধ একটি চাঁদাবাজ চক্র। তাদের চলাফেরায় মনে হবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা। চক্রটি একযোগে বিভিন্ন ঔষুধের ফার্মেসী, পল্লী চিকিৎসক ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দোকানে হানা দেয়। তারপরর দুদকের সহযোগি প্রতিষ্ঠান দুসসের পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে। নানা অপকর্ম করার এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়ে আল আমিন নামে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে যায় চক্রটি। তারপর চক্রের মূল হোতা আবু সাঈদ ও হাফিজুল ইসলাম দুদকের ভ্রাম্যমান অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র দেখে তারা বলে, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। এক পর্যায়ে ঐ পল্লী চিকিৎসককে জেলে দেবার ভয় দেখান। পরে একহাজার টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলতে শাসিয়ে চলে যায় তারা । পরে আল আমিন থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। নাজিরপুর বাজারের একাধিক ব্যক্তি জানান, দুদক বলে পরিচয় দিয়ে এই প্রতারকরা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, এক পল্লী চিকিৎসকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হাফিজুলকে আটক করা হয়। পরে তার মাধ্যমে আবু সাঈদ ও হৃদয় নামে অপর দুই যুবককে ওয়াকিটকিসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের নামে মামলা রজু করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।