নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন বলা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন কোথায়?’
এ সময় নিজ আসনে অবস্থান করা সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত দিয়ে নিজেকে, স্পিকারকে এবং বিরোধী দলীয় নেতাকে ইশারা করে দেখান। এ সময় স্পিকারসহ অন্য সংসদ সদস্যদের হাসতে দেখা যায়।
তখন রওশন এরশাদ বলেন, ‘ভাগ্যচক্রে এটা হয়ে গেছে, ভাগ্যে চক্রে এটা হয়ে গেছে।’ এ সময় পাশ থেকে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্যরা কিছু একটা বলছিলেন। রওশন তখন বলেন, ‘কেন আমি ঠিক বলেছি তো, এটা তো হয়ে গেছে। আমি লাকি যে, বিরোধী দলের নেতা হয়েছি।’
আজ মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা এবং ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় এ ঘটনার অবতারণ হয়।
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘আপনি প্রধানমন্ত্রী এটা তো নির্ধারিত। সেখানে আমি বিরোধী দলীয় নেতা হয়েছি, আমার লাক ভালো সেজন্য হয়েছি। অন্য কেউ হতো। প্রধানমন্ত্রীকে তো কেউ সরাতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রী-ই।’
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতিনিয়তই নারীরা অত্যাচারিত হচ্ছেন, শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা চলছে অনেক বেশি। এগুলো বন্ধ করা না গেলে নারী ক্ষমতায়ন কোথায়? এতে তো নারীর ক্ষমতায়ন হয় না। শুধু সংসদে কয়েক জন থাকলে হয় না। সংসদে কয়েকজন ছিটে ফোটা। এখানে পুরুষ সদস্যরা বেশি। বুঝতে হবে নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের দেশে নাই।’
মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কাজের সমালোচনা করে রওশন বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় এখন কথা বলা যায় না। কথা বলতে গেলে মুখে মশা ঢুকে যায়। সিটি করপোরেশনের মেয়ররা ড্রেন পরিস্কার করে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ড্রেন পরিস্কার করার কথা। যদি পরিস্কার না করে তাহলে আমরা ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দেব।’
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষামন্ত্রী দেশে থাকেন না। তিনি বিদেশেই বেশি থাকেন। আজকেও নেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নেই। তার কাছে আমরা কিছু বলতে চাইলেও তিনি থাকেন না। নোট গাইড বন্ধ করার কথা বলেন কিন্তু ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে কি করে সেটা বলেন না।’