চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন দুই বছরের অধিক সময়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিন আবেদন করা হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
জামিন আবেদনে ৫টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। এগুলো হল- খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না, তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
পরে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তবে আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) যদি সম্মতি দেন তাহলে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন খালেদা জিয়া। হাইকোর্টে আপিলের পর এই সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া মোট ১৭ বছরের সাজা নিয়ে দুই বছরেরও অধিক সময় বন্দি রয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।