মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারে অস্বাস্থ্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্যহানীসহ দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত নাজিরপুর তালতলা থেকে আলিম সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ও পচা পানির দুর্গন্ধ বাতাসের সাথে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে বাজারজুড়ে। ফলে চরম স্বাস্থ্যহানীতে ভুগছেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ জনসাধারণ।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত নাজিরপুর বাজারের যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট। বাজারের মাঝখান দিয়ে নির্মিত হয়েছে ড্রেন। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনটির কিছু অংশ ভেঙে রয়েছে। ফলে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি নিস্কাশিত হতে পারছে না। মানুষ চলাচলের রাস্তায় উঠে এসেছে ওই ড্রেনের পচা পানি। ড্রেনের দুই পাশে অবস্থিত খাবার হোটেল, মসজিদ, ক্লিনিক, বিভিন্ন চা ষ্টল, ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, দুধ বাজার, চৈতালী হাট ও হাট অফিসসহ ছোটবড় দোকানপাটের মধ্যে প্রবেশ করছে পচা দুর্গন্ধজনিত বাতাস। সেই সাথে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ডেঙ্গু জ¦রেও ভুগতে হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা সাধারণকে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নাজিরপুর হাটটি ডাকের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় ৫ বছরের জন্য নিয়ে পরিচালনা করে আসছেন ওই এলাকার ফরিদুল ইসলাম। প্রতিবার হাটের ডাক বাড়লেও উন্নয়ন কর্মকান্ড কিছু হচ্ছেনা। ড্রেন সংস্কারেও কেউ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
বাজারের ব্যবসায়ী ইউনুস আলী, মুনছের আলীসহ অনেকে বলেন, হাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ৮/১০জন পরিচ্ছন্ন কর্মি রয়েছে। তারপরেও ড্রেনের নোংড়া দুর্গন্ধে ভুগতে হচ্ছে। পেটের সমস্যায় পাতলা পায়খানা হয়ে অসুস্থ হচ্ছে অনেকে। হাট কমিটির সভাপতিকে বারবার ড্রেনটি সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। তবুও কোনো উন্নতি হয়নি। হাট কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেন, নাজিরপুর হাটের উন্নয়নের জন্য এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বেশকিছুদিন আগে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বরাদ্দ না থাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছেনা। আশা করা হচ্ছে দ্রুত এই ড্রেন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, নাজিরপুর হাটের ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়নের জন্য সেখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।