রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে দুই গ্রুপের দন্দে কনোপাড়া গ্রামটি এখন গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। পুরুষ শূন্য গ্রামটিতে পুলিশ তদন্তর নামে শুরু করেছে তান্ডব। অভিযোগ ওঠেছে তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি আসামীদের না পেয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লেপকাতা পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছেন। এবং ওই ঘটনায় মকছেদ গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হলেও মান্নান গ্রুপের পক্ষ থেকে কনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে এসব বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে গ্রামের নারীরাও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকার সারাধন মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন থেকে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের সবসার দীঘিতে বিষ প্রয়োগকে কেন্দ্র করে একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও মকছেদ আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে তাহেরপুর বাজার থেকে ফিরার পথে তালতলি এলাকায় মকছেদ আলীর ভাই ভ্যান চালক ভুট্টুকে মারপিট করে প্রতিপক্ষ। মারপিটের বিষয়টি জানাজানি হলে মকছেদ গ্রæপের লোকজন মান্নান পক্ষের নজরুল ইসলামের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ওই ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় মান্নান গ্রুপের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মকছেদ গ্রুপের দোকান পাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় মকছেদ গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়।ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া হয়েছে গ্রামের নিরীহ পুরুষসহ সাধারন নারীরা। গত মঙ্গলবার ১১ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় তাহেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কনোপাড়া এলাকায় যান এবং গালমন্দ করতে করতে আসামী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা জানালা ভাংচুর করেন। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী ও ছেলের বউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে গালমন্দ করেন এবং ঘরে প্রবেশ করে লেপকাঁথাসহ কৃষি কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাশ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। ওই গুলো পানিতে ফেলে দিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে নারীদেরকে মারার জন্য এগিয়ে গেলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নেয়। পুলিশের অহেতুক এমন কর্মকান্ডের জন্য ধিক্কার জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে পুলিশের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানান। এলাকাবাসীর অভিযোগ,থানায় মামলার পর পরই পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর পরই এলাকার পুরুষ মানুষ সব পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ রাত ও দিনে বার বার এলাকায় অভিযান দেয়ার কারনে কেউ এলাকায় আসতে পারছেনা। পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকার কারনে রাতের বেলায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, কনোপাড়া গ্রামতে তাহেরপুর ফাঁড়ির এসআই লুৎফর রহমানকে পাঠানো হয়েছে। তবে বাড়িঘর ভাংচুর ও লেপকাতা পুকুরের পানিতে ফেলার বিষয়টি আমার জানা নেই। পুলিশ কারো পক্ষে কাজ করছে না বলেও তিনি দাবি করেন। এবং খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা থাকলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য,এসআই লুৎফর রহমান তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়িতে দিঘ ২বছর ৪মাস যাবত ধরে অবস্থান করছেন।সে ১টি পৌরসভা ও ১টি ইউনিয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং তিনি নিজেকে ওসি মনে করে এলাকা গুলোতে দাফটের সাথে চলাফেরা করছেন বলে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।