ফের কর্মবিরতিতে ইবি’র কার্মকর্তারা


১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ফের কর্মবিরতি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতি। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের  সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানায় কর্মকর্তারা।
এসময় কার্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম জোহা, যুগ্ম-সম্পাদক রাশিদুজ্জামান খান টুটুল, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, নির্বাহী সদস্য গোলাম হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
এসময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘১৩ দফা আমাদের ন্যায় সঙ্গত এবং প্রাণের দাবি।আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১-১২ পর্যন্ত ১ ঘন্টা করে কর্মবিরতি চলবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি চলবে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি চলবে।
উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তাদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। তাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই মেনে নেবে।’
কর্মকর্তা সমিতির দাবিগুলো হলো, অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা করা, চাকরি অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ, উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন চতুর্থ গ্রেড এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেড করা। শাখা কর্মকর্তা হতে উপ-রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট চাকরিকাল ১০ বছর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলের অর্থ প্রচলিত তিনটি বেতন ভাতার পরিবর্তে ১৫টি বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা, পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদনের (ভর্তি পরীক্ষা) যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থা করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। পরে ২০১৯ সাালের বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে যায় তারা। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয় কর্মকর্তা সমিতি। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ সোমবার পুণরায় আন্দোলনে নামে তারা।