আমের রাজধানী রাজশাহী অঞ্চলে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঘ মাসে দেশী জাতের আম গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে মুকুল। তাই মৌ মৌ গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে আম বাগানে। এবার ঘনকুয়াশা না থাকার কারণে মওসুমের আগেই আমের গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় আগাম অনেক গাছেই চোখে পড়ছে আমের মুকুল। তাই তো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আম চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আমের ভাল ফলন হবে। এবছর আম চাষিরা অনেক আগে থেকে গাছের পরিচর্য শুরু করেন। গাছে কীটনাশক, সারসহ পানি সেচ দেয়া হয়েছে সময় মত। এতে কিছু গাছে আগাম জাতের মুকুল দেখা দিয়েছে। হয়তো মাঘের শেষে ও ফাগুনের দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজশাহী প্রতিটি আম বাগানের গাছে গাছে শোভা পাবে মুকুল। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুটে উঠেছে আমের মুকুল। তাই আশায় বুক বাধছে আম চাষিরা। চাষিরা বলছেন গত বার গাছে মুকুল আসলেও তা ধরে রাখতে পারেনি। তাই এবার আগে থেকে গাছে ভিটামিন গাছের গাড়ায় সার, পানি সেচ দিয়ে পরিচর্যা করে আসেছি। যাতে করে আম আসার সময় মুকুলের গোড়া শক্ত হয়। তাই এবার তারা আশা করছেন আবাহাওয়া ভালো থাকলে তার আম গাছে অনেক আম আসবে। এমন আশা প্রকাশ করছেন প্রায় সব চাষিরাই। কৃষি কর্মকতারা বলছেন, অবাহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকুলে রয়েছে। কৃষকরা নিজ নিজ আম বাগানের পরিচর্যা শুরু করেছে। কিছু গাছে সবে মাত্র দেখা দিতে শুরু করছে মুকুল মুখ। এ বছর আগাম মুকুলে সম্ভাবনা নেই। মুকুলের যথা সময়ে বের হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। এখন গাছে সেচ বা বৃষ্টিরও খুব দরকার নেই বলেও মনে করছেন কৃষি বিভাগ। তবে মাঘের শেষের দিকে বৃষ্টি হলে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার আগে থেকে চাষিদের সচেতন করে তোলা হয়েছে। তারা সারা বছর ধরে সার সেচ, গাছের পরিচর্যা করে আসছেন। এদিকে, রোববার দুপুরে সরজমিনে বাগমারার এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন বাগান মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান,মাঘের শুরুতে আম গাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটতে শুরু করে। এ সময় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। এবিষয়ে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান,এবার মাঘ মাসে বিভিন্ন গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়াগত কারণে দেশীয় জাতের আম গাছে এই আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তেমন নেই বলে জানান তিনি।