নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিদর্শন হিসেবে খ্যাত উত্তরবঙ্গের অন্যতম বেসরকারী বিদ্যাপীঠ নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজ জাতীয়করণ (সরকারীকরণ) এর অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলমের স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে মর্মে একটি চিঠি ফ্যাক্সযোগে হাতে পান প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা। এ সংবাদ উপজেলার বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ এটাকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বড়াইগ্রামবাসীর জন্য সেরা উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কলেজ গেট সংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর সহধর্মীণি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মুজিব পরিবারের সকল নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন সহ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। একই সময় এই বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ রাজনীতির অন্যতম সংগঠক শহীদ ডা. আয়নুল হকের প্রতিকৃতিতেও কৃতজ্ঞতা ও সম্মানীয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কলেজ জাতীয়করণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, মুজিববর্ষের শুরুতেই এমন সুসংবাদ বড়ই গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বড়াইগ্রামের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের পক্ষ থেকে তিনি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজ ক্যাম্পাসটির আয়তন এক একর চুয়ান্ন শতাংশ। এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সহ অনার্স ১৩ টি বিষয়ে নারী শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নরত রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৭৩ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১২১ জন।