শীত এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার সমস্যা। গলাব্যথা কিংবা ঠাণ্ডা লাগলে লবণ-গরম পানি দিয়ে গরগরা করলে উপকার পাবেন। সাধারণ সর্দি-গলাব্যথায় প্রথম অবস্থায় ওষুধ না খেয়ে লবণ-গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতির কথা কম-বেশি সবাই জানেন। তবে কীভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে জানি না। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জানা গেছে। আসুন জেনে নিই কুসুম লবণপানি সর্দি ও গলাব্যথা সারাতে যেভাবে কাজ করে-
লবণপানি দিয়ে কুলকুচি করলে তৈরি হয় ‘অসমোসিস ইফেক্ট’, যেখানে এই লবণ গলা থেকে তরল টেনে আনে। সেই তরলের টানে বেরিয়ে আসে ‘মিউকাস’, অস্বস্তি সৃষ্টিকারী ‘অ্যালার্জেনস’, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক। ফলে গলা পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া দাঁত ও মাড়ি থেকে ক্ষতিকর ‘প্যাথোজেন’ বা রোগজনক শক্তি অপসারণ করে এবং তাদের বৃদ্ধি রোধ করে লবণপানি।
লবণপানির গরগরার উপকারিতা
১. গলাব্যথা দুর করতে প্রদাহ, সর্দি এবং সাইনাসের সংক্রমণ সারাতে গরগরা করতে পারেন।
২. নিয়মিত ব্যবহারে মাড়ির রক্তক্ষরণ কমে।
৩.লবণপানি দিয়ে কুলকুচি করার কারণে মুখগহ্বরের অম্ল প্রশমিত হয় এবং সেখানকার অম্ল-ক্ষারের মাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে ‘জিনজিভাইটিস’ বা মাড়ি ফোলা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
৪. মুখে ও গলায় ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ হওয়া প্রতিরোধ করে।
লবণপানির মিশ্রণ তৈরির পদ্ধতি
একটি চা-চামচে অর্ধেক পরিমাণ লবণ নিয়ে তার চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ মিশিয়ে নিতে হবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে। কুলি বা গার্গল করার সময়
মাথা পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে মুখে পানিটুকু গলার নিয়ে গরগরা করতে হবে ৩০ সেকেন্ড। সঙ্গে সাধারণ কুলি তো করবেনই। একবারে পাঁচ থেকে সাতবার এভাবে কুলি করতে হবে।
সর্দি লাগলে বা গলায় অস্বস্তি দেখা দিলে দিনে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার মিলবে। সতর্ক থাকতে হবে পানির তাপমাত্রা ও লবণের পরিমাণ নিয়ে। লবণ বেশি হলে মুখগহ্বর ও গলার ভেতরের ‘টিস্যু’ শুষ্ক হয়ে যাবে।