আল্লাহ তাআলা যেমন সব প্রাণীর রিজিকের ব্যবস্থা করেন তেমনি কুরআনি আমলেও বেড়ে যায় বান্দার রিজিক। কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত হয়েছে সেসব আমল। তাই রিজিকের বরকত লাভে মুমিন মুসলমানকে সে আমলগুলো আমল করে যেতে হবে। আর এগুলো আল্লাহর নির্দেশ এবং নসিহতও বটে। আর তাহলো-
আল্লাহর প্রতি ভয় ও বিশ্বাস রাখা
মুমিন বান্দা যখন আল্লাহকে বেশি ভয় ও বিশ্বাস করবে, তখন আল্লাহ তাআলার তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিজিক দেবেন যা সে ধারণাও করতে পারবে না।’ (সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা
দুনিয়ার কৃতকর্মের জন্য বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা তাওবা-ইসতেগফারে মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে রিজিক দান করেন বলেও কুরআনে ঘোষণা দেন-
‘আমি বলেছি ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। (তোমরা তা করলে) তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (সূরা নূহ : ১০-১২)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে তার সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন। সব সঙ্কট থেকে মুক্তি দেবেন এবং তাকে এমনভাবে রিজিক দিবেন, যা কোন মানুষ ধারণাও করতে পারে না।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)
আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করা
যারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ রূপে ভরসা করবে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট। তা যে প্রয়োজনই হোক না কেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সব কিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (সূরা ত্বালাক : আয়াত ৩)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘তোমরা যদি আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা কর তাহলে তোমাদেরকে জীবিকা দেয়া হবে ঐভাবে যেভাবে দেয়া হয় পাখিকে। পাখি সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসা ত্যাগ করে এবং (সন্ধ্যায়) পেট ভর্তি করে (বাসায়) ফিরে আসে।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনি আমলের মাধ্যমে রিজিকের প্রশস্ততা বাড়ানোর তাওফিক দান করুন। কুরআমি আমলগুলো করার মাধ্যমে দুনিয়ায় রিজিক ও উত্তম জীবনের পাশাপাশি পরকালের জীবনকে সুন্দর করার তাওফিক দান করুন। আমিন।