কুল বা বরই খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। কাঁচা বা পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া হয় ফলটি। বরইতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ও ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরের জন্যও এই ফলটি বেশ উপকারী।
ওজন কমাতে সাহায্য করে বরই। ২০১৩ সালে জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এছাড়া এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ নানা প্রদাহ দূর করে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সারায়। এছাড়াও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার সমাধান রয়েছে মৌসুমি এই ফলে।
অতিরিক্ত রাগ প্রশমন
বরইকে রাগের প্রতিষেধক বলা যায়। যারা সামান্য বিষয়েই অতিরিক্ত রেগে যান, তারা বরই খেতে পারেন। ‘জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলোজি ২০০০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী রাগ প্রশমনে সাহায্য করে এ ফল। গবেষকরা ইঁদুরের ওপর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেন যে, বরই আসলেই রাগ কমাতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী একটি ফল বরই। ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ফার্মাসিউটিক্যালস বায়োলজির’ এক প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিত করে। বরইয়ের পুষ্টি উপাদানসমূহ রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা রয়েছে বরইয়ের। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘ফার্মাকগনোসি রিভিউ’ এর তথ্য অনুযায়ী এতে থাকা অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
ঠান্ডা সমস্যা দূর
বরইতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে। এটি গলার বিভিন্ন ইনফেকশনজনিত রোগ (যেমন : টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠান্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া) দূর করে খুব সহজে। এছাড়াও রক্তশূন্যতা সারায় এই ফল। এটি ডায়রিয়া, জ্বর, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।