মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মানিককগঞ্জের বাউল শিল্পি রীতা দেওয়ানকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার স্থানীয় মোকামবাজারে সম্মিলিত মুসলিম পরিষদ। মহান আল্লাহকে কটুক্তির প্রতিবাদে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন- বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া নিতেশ্বর শাখা, গোমড়া শাখা, গিয়াসনগর ইউনিয়ন শাখা, নিতেশ্বর আঞ্চলিক সমাজকল্যাণ সংগঠন, সম্মিলিত মুসলিম পরিষদ, গিয়াসনগর,সুর্য তরুন সমাজকল্যাণ সংস্থা, নিতেশ্বরসহ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। গিয়াসনগর আল -ইসলাহ সহ -সভাপতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন সিরাজীর সভাপতিত্বে ও মোঃ মামুনুর রশীদের পরিচালনায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আল ইসলাহ‘র নির্বাহী সদস্য হাফিয মুসলিম উদ্দিন, গিয়াসনগর ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার শেখ কাশেম আলী, সাবেক মেম্বার সাজ্জাদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামাল হোসেন, গিয়াসনগর ইউনিয়ন আল ইসলাহ‘র সভাপতি শেখ মোঃ আব্দুল আলী, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত খান, দৈনিক চেকপোস্ট জেলা প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম রিয়াদ। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গিয়াস নগর আল-ইসলাহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিয আলাউদ্দিন, সদর তালামীয প্রচার সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন, ওয়ার্ড আল ইসলাহ সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ আলম, লন্ডন প্রবাসী জসিম আহমদ, সূর্য তরুণ সমাজকল্যান সংস্থার সভাপতি জহিরুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক নুর মুহাম্মদ জাবের, অগ্রপথিক সমাজকল্যান সংগঠন সভাপতি সাইদুর রহমান, গিয়াসনগর ইউনিয়ন তালামীযের সভাপতি বদরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন- নাস্তিক রিতা দেওয়ান মহান আল্লাহপাককে ও নবী হযরত আদম (আ.) কে নিযে অকথ্য ভাষায় কটূক্তি করেছে। তা শয়তানকেও হার মানিয়েছে। এত কিছুর পরেও কেন তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হলো না। তা সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে প্রশ্ন জাগে। বারবার তাদের এলাগামহীন কথা বলার সাহস কোথা থেকে পায়। বক্তারা আরো বলেন-নাস্তিক রিতা দেওয়ানকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হোক। আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতরে আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা। উল্লেখ্য যে, মানিকগঞ্জের রিতা দেওয়ান এক ওরসে মহান আল্লাহ তায়ালা আদমকে গন্ধম খেতে নিষেধ করে ও শয়তানকে হাওয়ার রূপ দিয়ে ফল খাওয়ায়। আল্লাহ তায়ালাকে শয়তান ও মুনাফিক ও বজ্জাতি বলে আখ্যায়িত করেন। এই বক্তব্যর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের তার শাস্তির দাবী জোরালো দাবী উঠে।