ইয়ানূর রহমান : ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ায় চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসচিবসহ কেন্দ্র কমিটির পাঁচ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আনিছুর রহমানকে নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, কেন্দ্র কমিটির সদস্য যথাক্রমে একই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল জলিল, সিনিয়র শিক্ষক সালমা খাতুন, সহকারী শিক্ষক লাকি আক্তার ও ক্রীড়া শিক্ষক রবিউল ইসলাম।
অব্যাহতি প্রাপ্ত কেন্দ্রসচিব আজিজুর রহমান বলেন, সোমবার প্রথম দিনের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বরূপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অন্য একটি স্কুলের ১৯ জন রেগুলার পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নে (যে প্রশ্নপত্রে ক্যাজুয়ালদের পরীক্ষা নেওয়ার কথা) পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং দুইজন ক্যাজুয়াল পরীক্ষার্থীকে ২০২০ (রেগুলারদের নেওয়ার কথা) পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি তখনই যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে তাদের লিখিত পরীক্ষা সঠিক প্রশ্নে নেওয়া হয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল। এতে শিক্ষার্থীদের রেজাল্টে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।’ এঘটনায় তাকেসহ পরীক্ষা কমিটির পাঁচ সদস্যকেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধবচন্দ্র রুদ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বিষয়টি আমাকে ওভার ফোনে নিশ্চিত করেছেন।’
যশোর বোর্ডে অনুপস্থিত ৫৩৬, বহিষ্কার ১
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে যশোর শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থী। আর অসদুপায় অবলম্বনের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে এক পরীক্ষার্থীকে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধবচন্দ্র রুদ্র এই তথ্য দিয়েছেন।
প্রফেসর রুদ্র জানান, আজ প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে যশোরে ৮৬ জন, খুলনায় ৬৬ জন, বাগেরহাটে ৪৮ জন, সাতক্ষীরায় ৪২ জন, কুষ্টিয়ায় ৬৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ জন, মেহেরপুরে ৪১ জন, নড়াইলে ৩৩ জন, ঝিনাইদহে ৭৪ জন এবং মাগুরায় ৩৮ জন।
এছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কুষ্টিয়া জেএমজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২৫৯০৭৪ নম্বর রোলধারী পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যশোর বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের দশ জেলার দুই হাজার ৫২১টি বিদ্যালয়ের ২৮৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৬১ হাজার ৬৯৫ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনিয়মিত ২৪ হাজার ১৬৬ জন।