মো. মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া(পাবনা):
ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবে এক সময়ের খরস্রোতা নদী বড়াল এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। নদীর তলদেশে এখন ফসলের আবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহত্তর চলনবিল অঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীটি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ড্রেজিংয়ের অভাবসহ অপরিকল্পিত রেগুলেটর স্থাপনের ফলেও দিন দিন নাব্য হারিয়ে সংকীর্ণ হচ্ছে ।
নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় চলনবিলের ৮ টি উপজেলার মধ্যে নৌ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে ।ফলে এ অঞ্চলে নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা । চলনবিল অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য বড়াল নদী এবং পদ্মার উৎসমুখে একটি রেগুলেটর স্থাপন করা হয় । কিন্তু ভুল পরিকল্পনার কারনে এ সøুইসগেট নির্মাণে ক্রুটি দেখা দেয় । ফলে দীর্ঘ প্রায় দু’যুগেরও বেশি সময় পদ্মার পলিযুক্ত পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বড়াল নদীতে বন্ধ থাকায় নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে । এতে রাজশাহীর চারঘাট বড়াল রেগুলেটর থেকে
পাবনার চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া, ফুরিদপুর সহ নাটোরের গুরুদাসপুর,লালপুর,বড়াইগ্রাম,সিংড়া,সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ,তাড়াশসহ আশপাশের উপজেলার প্রায় ২৫ লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে । পদ্মার স্রোতধারা এখন আর বড়াল নদীতে প্রবাহিত হয় না । ফলে বড়াল রেগুলেটর হতে গুরুদাসপুর, ভ্ঙ্গাুড়া ও ফরিদপুর হয়ে নদী পথটি পলি পড়ে নদীর প্রশস্থতা ও গভীরতা হারিয়ে গেছে । নদীর দু’পাড়েই গড়ে উঠেছে বসত বাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ।মানুষ এখন নদীর তলদেশে চাষ করছে বিভিন্ন ফসল ।
সড়ক পথে পরিবহন খরচ বেশি হওযায় এখানকার ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে নৌপথে ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ ও আরিচা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করে আসছিল । এখন নৌপথ বন্ধ থাকায় সড়ক পথে অধিক খরচে পণ্য পরিবহন করতে হয় । অথচ নদীটি নাব্য হারানোর ফলে প্রতিবছর অকাল বন্যার করালগ্রাসে ক্ষতির পরিমান বেড়েই চলছে । বিলুপ্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ ।